Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামের সবদিক মানতে হবে

উবায়দুর রহমান খান নদভী | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের ঈমান শিখতে হবে। ইবাদত করতে হবে। লেনদেন ও সামাজিক সম্পর্ক শরীয়ত মতো করতে হবে। আখলাক তথা নীতি-নৈতিকতা ও আচরণ সুন্নাত মোতাবেক গঠন করতে হবে। এ জন্য আহলে ইলম বা উলামা মাশায়েখ, ইমাম, খতিব, উস্তাদ ও মুরব্বীদের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন ফরয-ওয়াজিবের চেয়ে কম নয়। কেননা, শরীয়তে ফরযের প্রস্তুতিও ফরয। ওয়াজিব আদায়ের পথে যে বিষয়টি অপরিহার্য সেটিকেও ওয়াজিব বলা হয়েছে। আমাদের উচিত নামাজ শেখা। নামাজ পরিমাণ ক্বেরাত ও জরুরি দুআ-কালাম আলেমদের নিকট গুরুত্ব ও আগ্রহের সাথে শিক্ষা করা। মাসআলা-মাসায়েল শিখে নেয়া।

পবিত্র কোরআনে আছে, হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো। তিনি প্রভু। তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এবং তাদেরকেও তোমাদের পূর্বে গত হয়েছে। যাতে তোমরা মুত্তাকী খোদাভীরু সতর্ক জীবন যাপনকারী হতে পারো। যিনি তোমাদের জন্য এই ভ‚পৃষ্ঠকে সমতল গালিচার মতো এবং আসমানকে ছাদের মতো করেছেন এবং শূন্য থেকে পানি বর্ষণ করেন। এরপর তা দিয়ে তোমাদের রিজিক শষ্য ফল ফসল উৎপন্ন করেন। অতএব, তোমরা যখন সব জানো, তাই আর এই রবের কোনো সমকক্ষ বা শরীক সাব্যস্ত করো না। (সূরা বাকারা : আয়াত ২১-২২)।

ঈমান, ইবাদত, মুআমালাত, মুআশারাত, আখলাক অর্থাৎ ঈমান, ইবাদত-বন্দেগী, লেনদেন, কামাই-রুজি, আত্মীয়তা ও সামাজিক সম্পর্ক এবং নীতি-নৈতিকতা, আখলাক, আচরণ, মানবিক গুণাবলি ইত্যাদি সম্পর্কে সারা জীবন কিছু-না-কিছু শিখতে থাকা। এর ওপর আমল করা। নিজ পরিবারের নারী, শিশু ও অন্যান্য সদস্যকে এসব শিক্ষা দিতে থাকা এবং সমাজেও এই শিক্ষার প্রসার করা।

কারণ, আমাদের সমাজে দীনের বহুমুখী কাজ বহু বছর ধরে অব্যাহত থাকা সত্তে¡ও গোমরাহীরও শেষ নেই। আকীদার ক্ষেত্রে সমস্যা। ইলম ও আমলের অভাব। সঠিক দীনি বুঝের ক্ষেত্রে চরম হতাশা বিরাজ করছে। মানুষ দীনদারি কথাটির সঠিক মর্ম অনেক ক্ষেত্রেই উপলব্ধি করতে পারে না। ঈমান-একীনের অভাব। আমলের সঠিক সংজ্ঞার ক্ষেত্রে ত্রুটি। লেনদেন ও কামাই-রুজিতে দীনের কোনো হুকুম-আহকাম আছে কি না সেটাও মনে হয় অনেকের জানা নেই।

সামাজিক ও মানবিক বিষয়ে মানুষ নিজের ইচ্ছা মতো চলে। মনে করে, এ বিষয়ে ইসলামের কোনো আদর্শ নেই। পর্দার ব্যাপারে সচেতন মহিলারা অনেক সময় দীনের অন্য বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানও রাখে না। তারা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কিংবা আচরণে মারাত্মক অধার্মিক। ইবাদত-বন্দেগীতে অগ্রসর কিংবা পোশাক-আশাকে ইসলাম অনুসারী এমন মানুষও আছে যারা কুফুরী মতাদর্শের প্রচারক ও নেতা। অর্থ-সম্পত্তি ও লেনদেনে তারা ইহুদী-খ্রিষ্টানদের চেয়ে কম নয়।

দীনি জ্ঞান ও ধারণার ক্ষেত্রে তারা মারাত্মক পশ্চাৎপদ। অথচ দীনি অঙ্গনে তারা নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে চায়। সামগ্রিক ইসলামের ধ্যান-ধারণা এতই দুর্দশা যে সমাজে আছে সেখানে প্রকৃত আলেমগণের কর্তব্য অপরিসীম। মহানবী (সা.) বলেন, জেনে রাখো, নিশ্চয় তোমরা সকলে দায়িত্বশীল। নিজ অধিনস্তদের বিষয়ে দায়িত্বশীল। আর প্রত্যেকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (তিরমিজি শরীফ)।

এসব বিষয়েও জিম্মাদারের ভূমিকা আপনাকে নিতে হবে। দেন-মহর, নারীদের ওয়ারিশ, মানুষের পাওনা, আর্থিক স্বচ্ছতা এ দেশে চরম ইসলামপরিপন্থী রূপ নিয়ে সমাজে টিকে রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান ও হালাতের সংশোধন ছাড়া দীনের কাজ সুষ্ঠুভাবে এগোবে না।



 

Show all comments
  • সবুজ ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:১০ এএম says : 0
    একদম ঠিক কথা বলেছেন
    Total Reply(0) Reply
  • ইব্রাহিম ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:১১ এএম says : 0
    ইসলাম একমাত্র ও সর্বোত্তম জীবনব্যবস্থা।
    Total Reply(0) Reply
  • মাজহারুল ইসলাম ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:১২ এএম says : 0
    একজন মুসলমান ঘুম থেকে উঠা নিয়ে আবার ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক—সব কিছুর ওপর ইসলামের বিধান আরোপিত।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল রাহী ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:১২ এএম says : 0
    ইসলামের আংশিক ধারণ করে, বিশেষ ক্ষেত্রে ইসলাম বর্জন করার সুযোগ ইসলামে নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:১২ এএম says : 0
    ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। ’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ২০৮)
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:১৭ পিএম says : 0
    We read many newspaper Articles on Islam not only that we listen so many thousands of Islamic Lecture but our societies are full of Horrendous crimes are committed by the government and also general people.. No body come out and establish the Law of Allah then all the crimes will go away like when Prophet [SAW] ruled by Qur'an. Alem's are the inheritor of Rasul. Their fard duty to rule the country by Qur'an.. But our Alem's are divided in 100 sect's and they backbite each other, everybody says that they are in the Siratul Mustaquim, but they never come to Qur'an and Sunnah. O'Alem community remember Allah is One, Qur'an is One and our Prophet is One then why you are creating division??????? If do not come under one banner of Islam then fear the severe punishment in the Day of Judgement.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন