পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকার আরেকটা জালিয়াতির সার্টিফিকেট চালু করেছে। যারা ভ্যাকসিন নেবে তাদের একটি সম্মতিপত্র বা অঙ্গীকারনামা দিতে হবে। তার নাম, তার বাবার নাম, মায়ের নাম, আইডি নাম্বার- এটা দিয়ে দিতে হবে যে, ভ্যাকসিন নিলে পরে কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে না। এখানেই তো সন্দেহ আরো ঢুকিয়ে দেয়া হলো। একটা টিকা দেবেন সেই টিকাটা সকল গবেষণায় উত্তীর্ণ হবে যে, টিকা নেওয়ার পর করোনাভাইরাস আমাকে আক্রমণ করবে না। সেখানে অঙ্গীকারনামা কেনো? সেখানে সম্মতিপত্র কেনো? সেখানে সই দেবে কেনো? জনগণ তো আরো সন্ত্রস্ত হলো যে, ওখানে ডাল ম্যা কুঁচ কালা হ্যা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত নিজে তাদের দেশের লোককে এই করোনার টিকা দিচ্ছে না। মার্চ মাসে ট্রায়াল করবে। আমরা তেলাপোকা, আমরা কী ব্যাঙ, আমরা কী গিনিপিগ বাংলাদেশের লোক? এখন ভারতের যে ভ্যাকসিন সেটা বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে, প্রয়োগ করে ওরা দেখবে যে, এরা বাঁচে না মরে, এরা অসুস্থ হচ্ছে না সুস্থ হচ্ছে। সেটা দেখে তারপরে নিশ্চিত হবে। এরপরে ভিআইপিরা দেবেন, এরপরে প্রেসিডেন্ট দেবেন, এরপরে প্রধানমন্ত্রী দেবেন।
তিনি বলেন, আবার তামাশা করেছে তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদ যিনি বিএনপিকে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তারা তো গুম,খুন, বিচারবর্হিভূত হত্যা, ক্রসফায়ার-এটা করেও ওদের মনে স্বাদ মিটছে না। এখন ভেজাল টিকা নিয়ে দেখবে বিএনপি মরে না বাঁচে। তারপরে এরা নেবে। কতবড় নিষ্ঠুর তামাশা, কত বড় রসিক তামাশা। যে দেশ নিজের দেশের ওপর এটা প্রয়োগ করেনি। তারা মার্চ মাসে ট্রায়াল করবে। আর আমাদেরকে দিচ্ছে এটা ট্রায়াল করার জন্য। এটা আমার কথা নয় বা বাংলাদেশের মিডিয়া এটা বলেনি। আন্তর্জাতিক মিডিয়া রয়টার্স সংবাদ সংস্থা এটা বলেছে যে, ট্রায়াল হিসেবে এটা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে।
রিজভী বলেন, যে সরকার মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা করে, মানুষের বাঁচা-মরা দিয়ে তামাশা করে, সেই সরকার জনগণের সরকার নয়। এটা আমরা বার বার বলেছি। শুধু ভোটের ক্ষেত্রে নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রেও ওরা তাচ্ছিল্য করেছে, ওরা উপহাস করেছে। যখন লকডাউন দেয়ার কলা লকডাউন দেয়নি। করোনায় শত শত মানুষ মারা গেছে তারপরেও তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি। করোনার সরঞ্জামের জন্য যেসমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেটা করেনি। না কেের্ছ ভ্যান্টিলেটর, না কেের্ছ অক্সিজেন। আজকে সারা বাংলাদেশের অর্ধেক হাসপাতালে ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেনের কোনো সুবিধা নেই।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, শ্রীপুরে কাউন্সিলর নির্বাচনে কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম বিএনপির প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। বিএনপি হলে সংগঠন করা যাবে না আর ভোট কেন্দ্রে বিএনপির ভোটাররা যেতে পারবে না। চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিদিন বিএনপির কোনো লোককে গ্রেপ্তার করছে আর না হলে আওয়ামী লীগ-পুলিশ এক সঙ্গে গিয়ে হামলা করছে। এই দৃষ্টান্ত সরকার স্থাপন করেছে।
গতকাল সংসদে দেয়া শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, কোয়ালিটি এডুকেশন তো শেষ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এসএসসি-এইচএসসিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেছে খাতায় কিছুই লেখতে পারেনি। দুই বছর আগে ঘটনা। শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে ধবংস করেছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেই এসব বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন করা হয় তখন তারা গরুর রচনার দিকে চলে যায়। ওই বিএনপির নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকে। আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার মৃত্যু ‘স্বাভাবিক নয়, এক ধরনের হত্যাকা-’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের ও কৃষক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আাবদুস সালাম আজাদ, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, কৃষক দলের সহস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।