Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গাবতলীতে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ কমছে গুণগতমান

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আল আমিন ম-ল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে

বগুড়া জেলায় এ বছরে সোনালী আশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ১২ উপজেলার পাটচাষীরা এখনো সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। পুকুর, নদ-নদী, খাল-বিল, ডোবা-নালা, জলাশয়ে কাদা মাটি ও দূর্ষিত দুর্গন্ধে পানিতে পাট জাগ দেওয়ায় কমছে পাটের গুনগতমান ও পরিবেশ হচ্ছে দূর্ষিত। সূত্র জানায়, এ বছরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৬ হাজার ৬৭০ বেল। এ বছরে ১১ ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ১৭০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে নেপালতলীতে। আর সবচেয়ে কম পাট চাষ করা হয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে দক্ষিণপাড়ায়। তবে পাট চাষে অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষকরা সময়মত পাট বীজ পাওয়ায় এ বছরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাগণ পাটের গুণগতমান বৃদ্ধিতে পাট জাগ বিষয়ে কৃষকদের তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করলেও পাটচাষীরা তা মানছেন না। ফলে তারা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। ফলে পাটের রং কালো ও গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে। পাটের পচা পানির দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, রিবনার পদ্ধতিতে পাট জাগ বা পাট পচানো বিষয়ে কৃষকদের তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, চাষীরা আমাদের পরামর্শ না মানায় পাটের রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা কাক্সিক্ষত মূল্যে পাচ্ছে না। বরং তারা নানা অজুহাতে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। গাবতলী উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ চৌধুরী জানান, সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ না দেওয়ার জন্য কৃষকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গাবতলী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ জাহেদুর রহমান জাহিদ জানান, রিবনার পদ্ধতিতে পাটের আশ ভাল থাকে ফলে পাটের গুণগতমান বৃদ্ধি পায়। যেখানে পানির যথাযথ ব্যবস্থা নেই সেখানে কৃষক রিবনার পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন। রামেশ্বরপুর আকন্দপাড়া পাটচাষী রবিউল ইসলাম জানান, কৃষি কর্মকর্তাগণ রিবনার পদ্ধতি ও পলিথিন, বালি, বস্তা ভর্তি ইট দিয়ে পাট জাগ দেওয়ার পরামর্শ দিলেও জায়গা, পানি, সময় স্বল্পতা ও ব্যয়বহুল হওয়ায় পাট চাষী কেউ পরামর্শ মানছে না। আহম্মেদপুর গ্রামের পাটচাষী আজাহার আলী, দড়িপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন, উজগ্রাম এলাকার কৃষক বুলু মিয়া জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের কথা মতে পাট জাগ দিতে বহু অর্থের প্রয়োজন। তাই সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিয়েছি। তবে পাটের গুণগতমান একটু কম হলেও পাটকাটি (জ্বালানি) বিক্রি করে লাভ হবে। কেঢোপ গ্রামের পাটচাষী মোয়াজ্জেম, সাহাদত, মান্নান, দাসকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান ভিন্ন কথা তারা বলেন, আমরা এ বিষয়ে প্রথম শুনলাম। কৃষকদের মাঝে রিবনার পদ্ধতিতে পাট জাগ বিষয়ে আরো বেশী সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাবতলীতে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ কমছে গুণগতমান
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ