বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুন্দরবনে নিখোঁজ আবু মুসা (৩৬) বাড়িতে ফিরেছেন। রোববার (২৪) জানুয়ারি দুপুরে ভারত থেকে তিনি মাওন্দি নদী পার হয়ে নিজ গ্রাম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালীতে পৌঁছান। এসময় নিহত দুইজনের পরিবারের সদস্যরা মুসার বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবু মুসা আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
নিহতরা হলেন, পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪০) ও একই গ্রামের মনু মিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪২)।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, দুপুরের দিকে সীমান্তের মাওন্দি নদী দিয়ে আবু মুসাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে এলাকাবাসী। কৈখালী ফরেষ্ট স্টেশনের আওতাধীন মাওন্দি দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা লতিফ, আরিজুল, আরশ খানসহ ৪-৫জন একটি নৌকায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ফিরে আসা আবু মুসার বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম আরো বলেন, সুন্দরবনে নিহত অপর দুইজন রতন ও মিজানুর রহমানের লাশের কোনো হদিস এখনো মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের ওপর বাঘ আক্রমণ করে। নৌকায় করে প্রাণে রক্ষা পায় মুসা। পরবর্তীতে কৈখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পুল্লাদ নামের এক ব্যক্তির কাছে আশ্রয় নেয় মুসা।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরীর মাধ্যমে ভারতীয় বিএসএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছিলাম। তবে নিহত দুই মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনা তিনদিন গড়িয়েছে আর সম্ভবনা নেই এমনই মনে হচ্ছে। জীবিত থাকা আবু মুসা ভারতীয় যে বাসিন্দার কাছে ছিলেন, তিনি নৌকায় করে মুসাকে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কৈখালী ফরেষ্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক আলী ও নীলডুমুর ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইয়াসিন চেীধুরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
তবে বিজিবি অধিনায়ক ইতোপূর্বে জানিয়েছিলেন, সুন্দরবনের ভারতের অংশে বাংলাদেশি দুই ব্যক্তি বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে তাদের মৃত্যু বাঘের আক্রমণে, না গোরু পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তিনি আরো বলেছিলেন, ঘটনার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুসা, রতন ও মিজান গোরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। এলাকায় তারা গোরু পাচারকারী হিসেবেই পরিচিত। এছাড়া, সুন্দরবনের ঘটনা স্থলটি দূর্গম হওয়ায় নিহতদের উদ্ধার কাজ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।