মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনা অভিনেত্রী ঝেং শুয়াং ও প্রযোজক ঝাং হেং-এর প্রেম একটা সময় তুমুল আলোচনায় ছিল। বর্তমানে তাদের কর্মকান্ড নিয়ে চীনে আলোচনার ঝড় বইছে। বিশেষ করে অভিনেত্রীর দিকে সমালোচনার তীর ছোড়া হচ্ছে। সম্প্রতি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম উইবোতে ঝাং-এর লেখা একটি পোস্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
পোস্টে তিনি দাবি করেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আটকে আছেন। কারণ দুই নিষ্পাপ শিশুকে দেখভাল করতে হচ্ছে। তাদের ছেড়ে আসা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, সারোগেসি বা গর্ভ ভাড়া করে মা-বাবা হয়েছেন ঝেং ও ঝাং। কিন্তু এখন অভিযোগ উঠেছে, বাচ্চাদের ছেড়ে এসেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
ইতোমধ্যে চীনা সংবাদমাধ্যমে দুই শিশুর জন্ম সনদ ছাপা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জন্ম যথাক্রমে ডিসেম্বর ২০১৯ ও জানুয়ারি ২০২০। তাদের মা-বাবা হিসেবে ঝেং ও ঝাং-এর নাম লেখা রয়েছে।
প্রকাশ হওয়া একটি ফোন রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, দুই শিশুকে ছেড়ে আসতে বা দত্তক দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অভিনেত্রীর মা-বাবা। সেখানে এই বলে ঝেং হতাশা প্রকাশ করেন যে, সাত মাসের গর্ভবতী হওয়ায় দুই শিশুর মায়েদের গর্ভপাত সম্ভব নয়।
এমন খবর ছড়াতেই হতবাক অনেকে। কারণ চীনের পারিবারিক বন্ধনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এছাড়া দেশটির আইন গর্ভ ভাড়া নেওয়ার বিরোধী। চীনে বলা হয়ে থাকে, সারোগেসিতে মায়ের ‘গর্ভধারণ’কে ব্যবসায়িক সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা নীতিবহির্ভূত।
এ ঘটনায় ঝেং প্রচন্ড সমালোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি উইবোতে ব্যক্তিগত জীবনের এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেন ঝেং শুয়াং। সঙ্গে জানান, তিনি চীনের আইন ভঙ্গ করেননি। এ ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই কেলেঙ্কারির কারণে চীনের প্রথম সারির এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে ভাটা পড়বে। কারণ করোনা মহামারির সময় দুই শিশুকে ফেলে আসা কেউই পছন্দ করছেন না। সূত্র : রেডিও চায়না, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।