পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার লাগাতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অবশেষে মুখ খুললেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর-সূবর্ণচর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০মিনিটে একই আইডি থেকে লাইভে এসে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি কালকের স্ট্যাটাসে ওবায়দুল কাদেরকে কথাগুলো বলিনি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি মির্জা কাদেরকে বলেছি, কারণ তার ফ্যামেলি মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী। নিজের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একরাম বলেন, গত ১৮বছর আমি কষ্ট করে নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে এ পর্যায়ে এনেছি। কিন্তু মির্জা আমার গালে জুতা মেরেছে। ওবায়দুল কাদেরকে ভালোবাসলে আপনারা আজ কোন মিছিল, মিটিং ও বিক্ষোভ করবেন না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩২মিনিটে নিজের ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে বলবো না, আমি কথা বলবো ওবায়দুল কাদের’কে। একটা রাজাকার ফ্যামেলির লোক এ পর্যায়ে আসছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হলে, এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শুরু করবো।’ এর কিছুক্ষণের মধ্যে ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন তিনি। তবে এর আগেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় জেলা শহরে মিছিল মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। গতকাল সকালেও বিরাট হোন্ডা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আবদুল কাদের মির্জা কিছুদিন থেকে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য রাখেন। তার এসব বক্তব্য বিভিন্ন সময় ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ একমাস দুইদিন নীরব থাকার পর স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরী অবশেষে মুখ খুলেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একরামুল করিম চৌধুরী এমপি সাংবাদিকদের বলেন, ’আমি ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি, আমি বলেছি মির্জা কাদেরের পরিবার স্বাধীনতা বিরোধী। আর কাদের ভাই হলো বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। কাদের মির্জা গত একমাস ধরে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এর কোন বিচার হয় না।’ তিনি বলেন, কাদের মির্জার চাচা রাজাকার ছিলেন। তাকে কাদের ভাইয়ের বাহিনী গুলি করে মেরেছ। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগার। মির্জা কাদেরের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনী কমান্ডার। মামা ছিলেন রাজাকার। এই রাজাকারের বংশের লোক নিয়মিভভাবে ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার নেই। তিনি আরো বলেন, নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর জেলা আওয়ামী লীগ বর্তমানে শক্তিশালী অবস্থানে এসেছে। এক সময়ের অবহেলিত কর্মী সমর্থকরা এখন সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছে। যার সুবাদে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু মির্জা কাদের কর্তৃক লাগাতার বিষেদাগার ছড়ানোর মাধ্যমে দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।