পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশকে নতজানু করে রাখা ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা (সরকার) আজকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন, বাংলাদেশের মানুষকে তাদের যে পরিচিতি আছে সেখান থেকে দূরে ঠেলে দিতে চাইছেন। ষড়যন্ত্র চলছে, বাংলাদেশ তার যে স্বতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব তাকে ভুলে গিয়ে সে অন্য জায়গায় নতজানু হয়ে থাকুক- এভাবে পরিকল্পনা চলছে। যে পরিকল্পনাকে আমাদের রুখে দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে দলের এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই পতাকাই ধারণ করেছেন যে পতাকা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন এবং একইভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমান তিনিও সেই পতাকা তুলে ধরছেন। আজকে আমাদের সেই পতাকা তুলে ধরেছেন। এই পতাকাই মুক্তির পতাকা। আমাদের শ্লোগান একটাই- আজকে মুক্ত হতে চাই এবং মানুষকে এই অবস্থা থেকে বাঁচাতে চাই শহীদ জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেই আদর্শ অনুসরণ করে, আমরা মানুষকে বাঁচাতে চাই, দেশকে বাঁচাতে চাই। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে গানটি ভালোবাসতেন- ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। আমার অথবা আমাদেরও শেষ ঠিকানা হচ্ছে বাংলাদেশ। যেটা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দলীয় সঙ্গীত আছে তার মধ্য দিয়ে এটা ফুঁটে উঠে। বাংলাদেশ সম্পর্কে এই যে আমাদের অনুভূতি, এই অনুভূতি যতই প্রবল হবে, ততই কিন্তু আমরা জাতি হিসেবে শক্তিশালী হবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, এই দুইটাকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ শহীদ জিয়াই বাংলাদেশের জনগনের জন্য নতুন একটা পরিচিত, স্বতন্ত্র একটা অস্তিত্ব তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, তার রাজনীতির মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণ করেছেন। তিনি তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তার মধ্য দিয়ে জাতিকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ উপহার দিয়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটি একটা দর্শন। এই দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের জাতি সত্ত্বা দাঁড়াতে শুরু করেছে। অলরেডি ৫০ বছর পার করে ফেলেছি আমরা। আপনি দেখবেন আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিভাবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ধারণা বিরোধিতা করে। কিন্তু আজকে যখন পাসপোর্ট তৈরি করেছে নতুন করে, সেই পাসপোর্টেও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ রাখতে বাধ্য হয়েছে। আসলেই ওটাই সত্য ও ওইটাই সঠিক কথা।
১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে যে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একটা হতাশ একেবারে হতাশায় নিমজ্জিত একটা জাতিকে তিনি একটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন এবং কর্মে উদ্দীপ্ত করেছিলেন-এটা বাস্তবতা এবং তারই ফলে আজকে বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়েছে তার ভিত্তিটা তিনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা জাতিকে যেহেতু তিনি একটা পরিচিতি দিতে পেরেছিলেন, এটা স্বাতন্ত্র দিয়েছিলেন সেজন্য আজকে জাতি এই জায়গায় এসছে এবং লড়াইটা করছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষের মূল আকাক্সক্ষাটা ছিলো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, এটা মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে এই ৫০ বছর পরে আমরা এটা পালন করতে যাচ্ছি-কী বলে পালন করব? আমাদের তো লজ্জা হওয়া উচিত যে, আমরা ৫০ বছর পরেও একটা সুষ্ঠু রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ করতে পারিনি, আমরা নির্মাণ করতে পারিনি যে, একটা চমৎকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন হবে এবং সেটার জন্য দায়ী আজকে যারা ক্ষমতা জোর করে দখল করে আছে, অস্ত্র নিয়ে দখল করে আছে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের কারণেই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
কমিটির আহবায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ইসমাইল জবিহউল্লাহ‘র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচায্র্ অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জজ ইকতেদার আহমেদ, বিএনপির প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া সকালে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে সিলেট বিভাগ সমন্বয় কমিটির সভা হয় সিলেটে। সেখানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কমিটির সদস্যরা ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।