পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার হবে এটাই স্বাভাবিক। এক সময় গরু-মহিষ ছাড়া হালচাষের কথা চিন্তাই করা যেত না। বিজ্ঞান আবিষ্কার করে পাওয়ার টিলার ট্রাক্টর। ডিজেল চালিত এই ট্রাক্টর সাধারণ কৃষকরা ব্যবহার না করলেও বিত্তবানরা গরু-মহিষ হটিয়ে দেন। তারা জমি চাষে ট্রাক্টর ব্যবহার শুরু করেন।
তবে লক্ষণীয় আধুনিক যুগে পাওয়ার টিলার ট্রাক্টরের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছিল এক সময়ের গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষ। ঠিক তখনও উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও সদরের বিভিন্ন উপজেলায় গরু-মহিষ দিয়ে জমি চাষে লাঙল ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বর্তমানে জমি চাষের এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
মোহাম্মদপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন নামে এক প্রবীণ কৃষক বলেন, ‘মোর বাপও চাষ করছিল হাল (লাঙল) দিয়া। মুইও করেছু, ক’দিন আগত ট্রাক্টর দিয়া চাষ দিছিনু। ফসল ভালো হয় না। এলা তাই নিজে হাল (লাঙল) দিয়া চাষ দিছু। মাটিখান দেখ কত সুন্দর দেখাছে খরচও কম।’
এলাকার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধুনিক যুগে এখনো অনেকেই লাঙল দিয়ে জমি চাষ করেন। এতে মাটির উর্বরতাও যেমন বাড়ে, ঠিক তেমনি ফসলও ভালো হয়। পাশাপাশি জমি চাষে খরচও কিন্তু কম। একবিঘা জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করতে খরচ হয় এক হাজার ২০০ টাকা। আর ট্রাক্টরের তুলনায় গরু-মহিষের মাধ্যমে লাঙল দিয়ে চাষ করলে খরচ হয় অর্ধেক অর্থাৎ মাত্র ৬০০ টাকা।
সদর উপজেলার পখিপাড়া গ্রামের বিষখুরা এলাকার কৃষক নিতাই চন্দ্র জানান, জমি চাষ করতে গরু-মহিষের হালের জুড়ি নেই। তবে সময় বাঁচাতে বর্তমানে ট্রাক্টর পাওয়ার টিলারের চাহিদা বেশি হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, তাদের বাড়িতে আগে পাঁচ থেকে ছয় জোড়া গরু-মহিষের হাল ছিল। বর্তমানে হালের এক জোড়া মহিষ আছে। এটা শুধু নিজের পরিবারের সবজি ও ফসল চাষের কাজে ব্যবহার করা হয়।
কৃষকের কথায়, সবজি বা ফসল যেটাই হোক মেশিনের চেয়ে লাঙ্গল দিয়ে চাষ সবচেয়ে উত্তম। পেঁয়াজ, রসুন, পটল ও করলা আবাদের মাটি প্রস্তুতে হাল চাষের বিকল্প নেই। ইতোপূর্বে অনেকে সময় বাঁচাতে টাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে কম ফলন পেয়েছেন। সে অভিজ্ঞতা থেকে ওই টাক্টর থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা বর্তমানে বাপ-দাদার সময়কার গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষের দিকে ঝুঁকছেন। তবে ট্রাক্টরের ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। দুই পদ্ধতিতে জমি চাষ চলছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও উপজেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদফতর জানায়, আধুনিকতার উৎকর্ষতার ছোয়ায় জমি চাষের জন্য হালচাষের ব্যবহার তেমন আর চোখে পড়ে না। তবে অনেকে নিজেদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।