Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে সব নদ-নদীকে দখলমুক্ত করা হবে : বরিশালে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

‘বরিশাল বিভাগের নদীসমুহের নাব্যতা বৃদ্ধি, পানিদ্ধতা হ্রাস, জলাভ‚মি বাস্তু পুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং সুবিধাদী বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থপনার সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক সমীক্ষার ওপর এক কর্মশালায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার দক্ষিণাঞ্চলে নৌ যোগাযোগে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করছে। খুব শিগগিরই বরিশাল নদী বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলে সব নদ-নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করার কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি একটি প্রকল্পের আওতায় বরিশাল নদী বন্দরে আধুনিক টার্মিনাল নির্মাণসহ সব ধরনের উন্নয়ন করে যাত্রী সুবিধা নিশ্চিত করার কথাও জানান নৌ পরিবহন মন্ত্রী। বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে গতকাল দিনব্যাপী এ কর্মশালায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী আমাদের দেশের প্রাণ। আগামীতে বাসযোগ্য বাংলাদেশের জন্য নদী রক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই সরকার নদ-নদীবহুল দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমুহ রক্ষাসহ এর উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
সরকারি তহবিলের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস-সিইজিআইএস’ দক্ষিণাঞ্চলের ৩১ টি নৌপথের ১ হাজার ৪৭৫ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক সমিক্ষা পরিচালনা সম্পন্ন করেছে। যার চ‚ড়ান্ত ফলাফল সেমিনারে উপস্থাপন করা হয়।
সেমিনারে জানান হয়, নদীসমুহের নাব্যতা বৃদ্ধি, প্রধান চ্যানেলের সাথে ঘাটসমূহের সংযোগ স্থাপন, সেচ, পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলজ সম্পদ বৃদ্ধি এবং নদীর পাড় ভাঙন রোধের বিষয়গুলোও সমিক্ষায় অন্তভ‚ক্ত করা হয়েছে। সমীক্ষাকৃত ৩১টি নৌপথের মধ্যে ৪টির পর্যাপ্ত গভীরতা থাকায় ড্রেজিং-এর কোন প্রয়োজন নেই। সুপারিশে অবশিষ্ট ৩১টি নৌৈপথের ৪৭০ কিলোমিটারে ৪২ মিলিয়ন পলি অপসারণের প্রস্তবনার পাশাপাশি পরবর্তী ৭ বছরে সংরক্ষণ ড্রেজিং-এর মাধ্যমে আরো ১৭০ মিলিয়ান ঘণমিটার পলি অপসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাশাপাশি মাঠ পর্যায়র এ জরিপ পরিচালনায় ২৪৪টি ঘাট চিহ্নিত করে ট্রাফিক সমিক্ষা এবং স্থানীয় জনগণের চাহিদার আলোকে নতুন ঘাট স্থাপন ছাড়াও বিদ্যমান ঘাটসমুহের উন্নয়নেরও সুপারিশ করা হয়েছে। সমীক্ষার সুপারিশে ৩টি নতুন লঞ্চঘাট নির্মাণ ছাড়াও বিদ্যমান ৬০টি লঞ্চ ঘাট, ১১টি কার্গো ঘাট, ৩৮টি খেয়াঘাট উন্নয়ন এবং ৩টি পর্যটন কেন্দ্রিক ঘাটের উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়। দিনব্যপী এ কর্মশালায় বিআইডবিøউটিএ ছাড়াও সরকারীÑবেসরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সুপারিশ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
তবে বিআইডবিøউটিএ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এ সমীক্ষা প্রতিবেদন চ‚ড়ান্ত অনুমোদনের পরেই এ সংক্রান্ত ডিপিপি তৈরি করে ব্যয় নির্ধারণ করা হবে। পরবর্তীতে দাতা সংগ্রহসহ তহবিলের সংস্থানের ওপরই সমীক্ষার আলোকে প্রকল্প বাস্তবয়নের কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। ঠিক কবে নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে তা বলতে পারেন নি দায়িত্বশীল মহলের কেউ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ