প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আকাশ নিবির : আগে মানুষ গ্রামোফোনে বা কলের গানে গান শুনত। কালের বিবর্তনে আবিষ্কৃত হয়েছে রেডিও এবং ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনার পদ্ধতি। প্রযুক্তির উৎকর্ষে ক্যাসেট থেকে সিডিতে, সিডি থেকে মোবাইল মেমোরি কার্ড ও পেনড্রাইভ প্লেয়ারে রূপান্তরিত হয়েছে। সর্বশেষ সংস্করণটি হলো অনলাইন মিউজিক পোর্টাল। গানের মাধ্যমের এত বিবর্তনের মধ্যেও অডিও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, আগের মতো আর অডিও ব্যবসা নেই। এখন ইউটিউবেই শ্রোতারা গান শোনেন এবং দেখেন। আমারাও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি। এখন মিউজিক্যাল ফিল্ম-এর যুগ। এ যুগেও আবার ঘটছে নানা অনিয়ম। এখন শিল্পীরাই গান করে দেয়। একজন লগ্নিকারক খুঁজে মডেল দিয়ে গানটি ভিডিও করে। এই ভিডিওটি পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ইউটিউবে মুক্তি দেয়। গান ও দর্শক জনপ্রিয়তায় ইউটিউবে ভিউয়ার বেড়ে গেলে সেখান থেকে যা কিছু টাকা পাওয়া যায়, তাতে শিল্পী আর অডিও কোম্পানি ভাগাভাগি করে নেয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, মিউজিক ভিডিওতে যে লগ্নিকারক টাকা ইনভেস্ট করল তার কোনো লাভ নেই। এমনও দেখা যাচ্ছে, অনেক নারী শিল্পী নানা প্রলোভন দেখিয়ে লগ্নিকারককে গানের ভিডিওতে টাকা ইনভেস্ট করিয়ে হাওয়া হয়ে যায়। এর ফলে লগ্নিকারকের পুরো টাকা মার যায় এবং শিল্পী লাভবান হয়। এধরনের প্রতারণাপূর্ণ কাজ অনেক শিল্পীই করছেন বলে অডিও শিল্প সূত্রে জানা যায়। আবার দেখা গেছে, এক গীতিকার ও সুরকারের গান শিল্পী নিজের নাম বসিয়ে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। অনেকে মনে করেন, পাইরেসির কারণে অডিও বাজারের ব্যবসা আগের মতো নেই। একথা আংশিক সত্যি। কেননা বছরব্যাপী পাল্লা দিয়ে ঠিকই রকমারি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হচ্ছে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। এ থেকে বোঝা যায়, গানের বাজার যথেষ্ট ভালো অবস্থায় রয়েছে। মন্দাবস্থা বলতে বলতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি কোম্পানি খুব ভালো ব্যবসা করে চলেছে। এগুলোর মধ্যে জি সিরিজ, লেজার ভিশন উল্লেখযোগ্য। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো অডিও বাজারকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও ফিজিক্যাল সিডির বাজার এখন আর তেমন একটা নেই। আবার ইদানীং অডিও কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক পরিধি প্রসারিত হচ্ছে মোবাইল কন্টেইন, ওয়েলকাম টিউনস, বøু-রে, অনলাইনভিত্তিক গুগল প্লে, আই টিউনস এবং ইউটিউব ভিভোতে। এছাড়া ওয়েবসাইট থেকে সীমিত টাকার মাধ্যমে অডিও গানগুলোর মূল কোয়ালিটি ফাইলগুলো সংগ্রহ করার পদ্ধতি চালু হয়েছে। কিন্তু অনলাইনের অবৈধ ওয়েবসাইটগুলোর কারণে সেটা পুরোপুরি বাণ্যিজিক ধারায় রূপান্তর হতে পারছে না। যদি অডিও কোম্পানিগুলো অনলাইনের অবৈধ মিউজিক ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিতে আসতে পারে, তবে সেটা বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের জন্য মঙ্গলজনক হবে। আবার বিভিন্ন থানা ও জেলা এমনকি পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়ার দোকান থেকে হরহামেশা সিডি বা কম্পিউটারের মাধ্যমে মেমোরিতে গান পাইরেসি হচ্ছে। এই অবৈধ মাল্টিমিডিয়ার দোকানগুলোকে অডিও কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে এনে বৈধ বাণ্যিজিক বাজার তৈরি করতে পারলে দেশের অডিও বাজার আবারও চাঙ্গা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। যেসব অডিও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত বিভিন্ন অ্যালবাম প্রযোজনা করছে তাদের নিজস্ব একটি নীতিমালা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সেসব নীতিমালা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করেÑ প্রতিটি অ্যালবাম এবং অ্যালবামের কলাকুশলীদের প্রতিটি গানের কন্টেইন হিসেব করে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তালিকা রাখা উচিত। এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করতে পারলে অডিও কোম্পানির সঙ্গে শিল্পী ও সংশ্লিষ্টদের মনোমালিন্যও বন্ধ হবে। সবাই যার যার প্রাপ্য সম্মানি বুঝে নিতে পারবেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে অডিও বাজারের সুদিন ফিরিয়ে আনতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।