পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় পদ্মাওয়েল গেটের পাশে একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলে থাকা স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুই জন হলেন- আকাশ ইকবাল (৩৩) ও তার স্ত্রী মায়া হাজারিকা (২৫)। বাসটিকে জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে যায়। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মশিউল আলম জানান, নিহত স্বামী-স্ত্রীর বাড়ি দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায়। গতকাল সকালে মোটরসাইকেলে করে তারা দুই জন দক্ষিণখান থেকে খিলক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল ৭টার দিকে পদ্মাওয়েল গেটের সামনে পেীঁছালে আজমেরী গ্লোরি পরিবহনের একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এই দম্পতি। এসআই আরও জানান, শুধু নিহতদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে। ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা গেলেও এর চালক পালিয়ে গেছে।
পুলিশ বলছে, নিহত স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই মাথায় হেলমেট ছিল; কিন্তু পুলিশের মামলা থেকে বাঁচার জন্য নামে মাত্র তারা হেলমেট পরেছিলেন। নিম্নমানের হেলমেটে তাদের জীবন রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।
নিহত আকাশের ফুপাতো ভাই মো. মিজানুর রহমান মিন্টু জানান, ৬-৭ বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। আকাশ উত্তরায় একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আর তার স্ত্রী মায়া বিমানবন্দরে একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেন। তাদের ৪ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রতিদিন আকাশ তার মোটরসাইকেল করে মায়াকে নিয়ে বাসা থেকে বের হতেন। বিমানবন্দরে মায়াকে নামিয়ে দিয়ে তিনি উত্তরায় তার অফিসে যেতেন। সোমবারও তারা একইসঙ্গে বের হয়েছিলো। কিন্তু আজমেরি পরিবহনের বাসের চাপায় তাদের সব স্বপ্ন নিভে গেলো।
তিনি বলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদি গ্রামের জাফর শেখের ছেলে আকাশ। একই এলাকাতে বাড়ি স্ত্রী মায়ারও। আকাশের বাবা-মা গ্রামে থাকেন। তার বাবা স্ট্রোকের রোগী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আকাশ। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানান, তাদের সন্তানকে আজই প্রথম স্কুলে ভর্তি করা হয়। নিহত আকাশের শাশুড়ি আনজুমকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।