Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অরক্ষিত ৭৫০ এলাকা

চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজরের গেইটওয়ে চকরিয়া। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম দশর্নীয় স্থান দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। এ পার্কের নানা ধরনের পশুপাখির বিচরণ ক্ষেত্রের ৭শ’ ৫০ একর এলাকায় সীমানা প্রাচীর নেই। যার কারণে ওই এলাকা দিয়ে প্রায়শ’ পার্কে ডুকে পড়ছে বন্যহাতিসহ বিভিন্ন পশুপাখির দল। অপরদিকে পার্ক থেকে বন্যপ্রাণীগুলোও পালিয়ে যায়। এতে আতঙ্কে রয়েছেন দর্শনার্থী ছাড়াও পার্কের আশেপাশের গ্রামবাসী।
পার্কের বিট কর্মকর্তা জানান, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্টিত হয় চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ৯শ’ হেক্টর অর্থাৎ ২২শ’ ৫০ একর এলাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি গড়ে উঠে। শুরুতে ৬ হেক্টর অর্থাৎ ১৫শ’ একর এলাকায় সীমানা প্রাচীর গড়ে তোলা হয়। জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য বাকি ৭শ’ ৫০ একর এলাকা খোলা রাখা হয়। যাতে ওই এলাকার মধ্যেও পাহাড়ের বন্যপ্রাণী অবাধ বিচরণ করতে পারে।
জানা গেছে, পার্কের হায়দারনাশি এলাকায় একটি ছড়াখাল রয়েছে। ওই খালের উপর কোন কালভার্ট না থাকায় বন্য হাতির দল সরাসরি পার্কের ভেতর ডুকে পড়ছে। সম্প্রতি ওই এলাকা দিয়ে ২০-২২টি বন্যহাতির দল পার্কে ডুকে অবস্থান নিয়েছে। রাতের আধারে ওই বন্যহাতির দলটি ওই ছড়াখাল দিয়ে প্রবেশ করেছে। নষ্ট করেছে বেশ কয়েকটি বেষ্টনী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাফারি পার্কের ৭শ’ ৫০ একর এলাকাকে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিলো। যাতে পাহাড়ের বন্যপ্রাণী ছাড়াও হাতির দল ওই এলাকায় অবস্থান নিতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বন্য হাতির দল অতিরিক্ত খাবারের আশায় হায়দারনাশি এলাকার ছড়াখাল দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ওই বন্যহাতির দল পাকের পূর্ব অংশে অবস্থান করছে। এরা ইতোমধ্যে পার্কের বেশ কয়েকটি বেষ্টনি ভাঙচুর করেছে। বন্যহাতির দল যাতে পার্কের মূল অংশে ডুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক শেখ বলেন, পার্কের একটি অংশে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ৭শ’ এলাকা উন্মুক্ত রাখা হয়েছিলো। সম্প্রতি লক্ষ্য করছি ওই এলাকা দিয়ে বন্যহাতির দল পার্কের ভেতর ডুকে পড়ছে। এছাড়াও হারদারনাশির ছড়াখাল দিয়েও বন্যহাতির দল পার্কে ডুকে পড়ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যেসমস্ত এলাকা দিয়ে বন্য হাতি ডুকছে সেসব এলাকা চিহ্নিত করেছি। এজন্য সীমানা প্রাচীর ও ছড়াখালের কালভার্ট নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি চলতি অর্থবছরে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু করতে পারবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু-সাফারি-পার্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ