বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান : মাগুরা পুলিশের প্রচেষ্টায় চাঞ্চল্যকর রুহুল আমীন হত্যা মামলার জট খুলে গেল। আর বেঁচে গেল নিরীহ ১২ ব্যক্তি। তাদের এই হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছিল। মাগুরা সদর উপজেলার মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের পুলিশ লাইন এলাকার বাসিন্দা গৌরিচরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন (৬২)-এর লাশ পুলিশ লাইনের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশ থেকে ১০ আগস্ট উদ্ধার করে পুলিশ। সে পুলিশ লাইন জামে মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিল। তার মাথার পেছনে রক্তাক্ত জখম ছিল।
প্রথমে এটাকে পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা মনে করছিল। মৃত রুহুল আমীনের পরিবার থেকে নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ১৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। তাদের ধারণা ছিল জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষরা এ হত্যাকাÐ ঘটিয়েছে। এ অবস্থায় মাগুরার পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ, পুলিশের ধারণা এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগ আমলে নিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তদন্তে নামেন। তার আন্তরিক উদ্যোগে এজাহারভুক্ত আসামীদের ব্যক্তিগত চালচলন, জীবনযাপন, মেলামেশা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ৮ নং আসামী সাবেক পৌর কমিশনার গোলাম ছরোয়ারের ছেলে মাসুদ রানাকে সম্ভাব্য খুনি হিসেবে আমলে নেন। শহরের স্টেডিয়াম পাড়া থেকে তাকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ করলে সে জানায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে শিক্ষক রুহুল আমীন পূর্বে তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে হাজত খাটায়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে রুহুল আমীন মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় কোন লোকজন না থাকায় লোহার রড দিয়ে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে। এ সময় রুহুল আমীন রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। মাসুদ এ সময় তাড়াতাড়ি সরে পড়ে। রাস্তার পাশে পড়ে থাকায় পুলিশ ও স্থানীয়রা এটাকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে ধরে নেয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, আটক মাসুদ রানা মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা বসুর আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আর এর মাধ্যমে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়। অপরদিকে ১২ জন নিরাপরাধ ব্যক্তি এত বড় মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।