পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘দৃশ্যত এখন আর আগের মতো রাজনীতি নেই। রাজনীতি রয়েছে মহাঘুমে। জনকল্যাণের রাজনীতি বেশ আগেই উধাও হয়েছে। রাজনীতির সবকিছুই চলছে নামকাওয়াস্তে। সামগ্রিক অনিয়ম অব্যবস্থায়ও বাদ-প্রতিবাদ নেই। রাজনীতি কালো টাকাওয়ালার হাতে বন্দি হচ্ছে। জনগণের সম্পৃক্ততা ও প্রতিনিধিত্বের প্রকৃত রাজনীতি নেই বললেই চলে। কেমন যেন স্থবিরতা বিরাজ করছে’ এসব কথাগুলো বললেন যশোরের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ইকবাল কবীর জাহিদ।
তার কথা সত্যিকারার্থে রাজনীতি থাকলে রাজনৈতিক নেতারা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন হয়েছে উল্টো। রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় প্রশাসন দ্বারা। যারা রাজনীতিবিদ তাদের অনেকেই পরিস্থিতি পরিবেশ দেখে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। এ চিত্র শুধু কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ, আন্দোলন-সংগ্রামের পীঠস্থান ঐতিহ্যবাহী যশোর অঞ্চলের নয়, বলা যায় প্রায় সবখানেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। সর্বোপরি মাঠ রাজনীতিতে চলছে নানামুখী সংশয়, শঙ্কা, প্রশ্ন ও বহুমুখী আলোচনা-সমালোচনা।
যশোরের সামগ্রিক রাজনীতির ব্যাপারে রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বক্তব্য, আমরা সামগ্রিক উন্নয়নে, সাধারণ মানুষের কল্যাণের রাজনীতি দেখতে চাই। এমনও অনেকে বলেছেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে রাজনীতির এই করুণ পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদদেরই জবাব দিতে হবে।
রাজনীতির সচরাচর যে দৃশ্য তা এখন দেখা যায় না। মানববন্ধন, মিটিং সিটিং ইটিং ফিটিং-এর মধ্যে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলো সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক কর্মকান্ড যতটুকু হচ্ছে তা দৃশ্যত ক্ষমতাসীন দলকেন্দ্রিক। তবে আ.লীগের রাজনীতিও চলছে গতানুগতিক। মাঠে ময়দানের রাজনীতি অনুপস্থিত। মূলত জনকল্যাণে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনীতি নেই। বিএনপির রাজনীতি একরকম ঘরবন্দি অবস্থায়। জাতীয় পার্টি যশোর অঞ্চলে মোটেও দৃশ্যমান নয়। একেবারেই কোন কর্মকান্ড নেই তাদের। জনদুর্ভোগ ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) মাঝে মধ্যে কর্মসূচি পালন করে থাকে। যশোরের দুঃখ ভবদহ ও ভৈরব নদ খননের দুর্নীতি নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
জেএসডি, জাসদ, ন্যাপ, সিপিবি ও ইসলামিক দলসহ প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড নেই। সরব রাজনীতি বলতে যা বুঝায় তা জেলার কোথাও কার্যত নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা, বিএনপির সরব রাজনীতি করার বাস্তবতাও নেই। জাতীয় দিবসগুলোতে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ টুকিটাকি কর্মকান্ডে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। মিটিং করলেও দলীয় কার্যালয়ে পুলিশবেষ্টিত এবং অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করতে হয়। মামলায় নেতা-কর্মীদের আদালতের বারান্দায় কাটাতে হয় দিন, সপ্তাহ ও মাসের বেশিরভাগ সময়। বিএনপির বর্তমান সময়ে যারা রাজনীতি করছেন তাদের অনেকেরই বক্তব্য, কী করবো, সবখানেই একই অবস্থা। একজন নেতা তো খোলসা করে বলেই ফেললেন, আরে ভাই দেখছেন না সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে, এর মধ্যে টিকে থাকাটাই কষ্টকর, আর রাজনীতি?
কয়েকজন বোদ্ধা রাজনৈতিক নেতা যারা এক সময় মাঠ কাঁপানো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তাদের কথা, গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ, ভোটের ওপর আস্থাহীনতা, দমন-পীড়ন ও বাধাসহ নানা কারণে রাজনীতি ডিফিকাল্ট হচ্ছে। আর ভয়াবহ ভাইরাস করোনার কারণে তো বলা যায়, একরকম নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করছেন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা। এমনকি জনদুর্ভোগ লাঘবে কিংবা জনস্বার্থ সম্পর্কিত কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃস্থানীয়দের সাথে সংসদ সদস্যদের খোলামেলা বৈঠক করারও কোন খবর নেই। ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে গ্রুপিং কোন্দল প্রায় জনসমক্ষে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।