পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনাঞ্চলের জনগুরুত্বপূর্ণ ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বছরের ৯ মাসই বসে থাকছে। দূরদর্শিতার অভাবে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হলেও সুফল পাচ্ছে না এ অঞ্চলের মানুষ। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে এই প্লান্ট থেকে বিদ্যুতের কোন প্রয়োজন হচ্ছে না। অথচ লোকবল ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ অন্য কোন খাতে ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে কোনো কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে হিসাবের খাতায় গচ্চার লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদ বিষয়টি নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে খুলনার গোয়ালপাড়ায় ২০১৩ সালে নির্মাণ করা হয় ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (নওপাজেকো) প্রথমদিকে বাস্তবায়িত এ কেন্দ্রটি চালু রাখা হতো পিক সময়ে বিদ্যুৎ চাহিদার জোগান দিতে। পরবর্তী সময়ে এটির সক্ষমতা আরো ৭৫ মেগাওয়াট বাড়িয়ে নেয়ায় প্রকল্প শেষ হয় ২০১৭ সালে। তবে সক্ষমতা বাড়ানো হলেও খুব বেশি কাজে আসছে না ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প। গ্রীষ্ম মৌসুম ছাড়া বছরের নয় মাসই বসে থাকছে কেন্দ্রটি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র মতে, বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনায় ২০১৭ সালে কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হয়। কিন্তু দেশে ওই সময়ে অনেকগুলো কেন্দ্র উৎপাদনে আসায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। ফলে কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টে কেন্দ্রটি রূপান্তরিত হওয়ার পর তা খুব বেশি কাজে আসেনি। এখন বছরের নয় মাসই কেন্দ্রটি বসে থাকে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে গ্যাস ও তেল দুই ধরণের জ্বালানি ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকলেও উৎপাদনের শুরু থেকেই তেল দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ আর্থিক চাপের মুখে ফেলছে বিদ্যুৎ বিভাগকে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রতিবেদনে (পিসিআর) দেখা গেছে, গ্যাস না থাকায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় ইউনিট প্রতি ১৬ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে।
২০১৫ সালের শেষের দিকে দেশের সব সিঙ্গেল সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টকে কম্বাইন্ড সাইকেলে রূপান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে খুলনার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আপগ্রেড করা হয়। গ্যাস টারবাইন প্রকল্পের সঙ্গে স্টিম টারবাইন যোগ করে আরো ৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হয়। ফলে কেন্দ্রটির মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাড়ায় ২২৫ মেগাওয়াটে। ২০১৬ সালের ২৫ জুন কম্বাইন্ড সাইকেল হিসেবে উৎপাদনে আসে। ৭৫ মেগাওয়াট যুক্ত করতে এ প্রকল্পে আরো ৮৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুতের বেশকিছু কেন্দ্র উৎপাদনে এলে অতিরিক্ত এ বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে খুলনা ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী হাসিবুল হাসান ইনকিলাবকে বলেন, যে সময় কেন্দ্রটি কম্বাইন্ড সাইকেল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সে সময় এ কেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। কিন্তু যখন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলো, তখন দেশে অনেকগুলো কেন্দ্র উৎপাদনে চলে আসায় অতিরিক্ত এ বিদ্যুতের চাহিদা হারায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।