পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্থাপিত বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ওই কেন্দ্রে এইচভিডিসি ২য় ব্লক নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি)।
নির্মাণ কাজের জন্য গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পিজিসিবি এবং সিমেন্স এজি (জার্মানী) এর মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ ২০১৬ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মি. নরেন্দ্র মোদী এবং ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় গ্রীড আন্তঃসংযোগের সূচনা করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। বিদ্যুৎ আমদানি শুরু ও পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি এই বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করছে।
এইচভিডিসি ২য় ব্লক নির্মাণ ও চালু হলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ১১০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে ভারত থেকে দুটি আন্তঃদেশীয় গ্রীড সংযোগের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
ভারতের বহরমপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে এইচভিডিসি ১ম ব্লকে ৫০০ মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা হয়ে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি চলছে। নতুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতিতে ভারতের খোলা বাজার থেকে কিনবে বাংলাদেশ।
চুক্তি স্বাক্ষর পর্বে পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানী সচিব মোঃ আশরাফ হোসেন এবং সিমেন্স এর পক্ষে উলফগ্যাং রিচার্ড ক্লেয়ার ও ম্যানুয়েল হেইজার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী দুই বছরের মধ্যে সিমেন্স এজি ভেড়ামারায় এইচভিডিসি ২য় ব্লক নির্মাণকাজ শেষ করে পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করবে। এ কাজে ব্যয় হবে ১ হাজার ১১২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
ভারতের খোলা বাজার থেকে সংগৃহীতব্য ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে উত্তোলন ও সঞ্চালন করবে পিজিসিবি। আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির ফলে দেশে বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে ও বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী। অন্যান্যের মধ্যে সিমেন্সের সিইও মিরকো ডুজেল, পিজিসিবি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল্লাহ ও পরেশ চন্দ্র রায়, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক কিউ এম শফিকুল ইসলাম সহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেন। ওই সময় বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে উভয় দেশের মধ্যে একটি যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারী বিদ্যুৎ খাতের সহযোগিতার বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকের অনুবৃত্তিক্রমে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এইচভিডিসি প্রযুক্তির ‘বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র’ নির্মাণ করেছে। গত ০৫ অক্টোবর, ২০১৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত প্রথম বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ আমদানীর ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।