Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই -মানববন্ধনে খেলাফত মজলিস

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর বিবেচনায় ভারতে প্রত্যাখ্যাত এনটিপিসি’র বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরিয়ে এনে বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ সুন্দরবন লাগোয়া রামপালে নির্মাণ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এছাড়া ভারতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি’র অতীত রেকর্ডও ভাল নয়। আমাদের বিদ্যুৎ দরকার, কিন্তু পরিবেশ বিনষ্ট করে, সুন্দরবন ধ্বংস করে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অর্থিকভাবে লাভবান হবে ভারত। ডান-বাম নির্বিশেষে দেশের সকল দল ও সচেতন জনগণ রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের জোর দাবী জানাচ্ছে। সুতরাং পরিবেশ ও সুন্দরবনের জন্যে ধ্বংসাত্মক দেশের জন্যে অলাভজনক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সরকার যদি জনগণের দাবীর প্রতি কর্ণপাত না করে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল না করে, তবে দেশবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ও নতুন করে জ্বালানী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া সুন্দরবন ও পরিবেশের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ও নতুন করে জ্বালানী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদে আজ শনিবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবস সফলে সারা দেশের জেলা ও মহানগরী শাখাসমূহে মানববন্ধন, মিছিল, গোলটেবিল বৈঠক, সমাবেশ, মতবিনিময়, গণসংযোগ অথবা আলোচনা সভার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)
এদিকে, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)-এর বনানী মডেল টাউনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সুন্দরবনসহ জীব বৈচিত্র্য রক্ষার্থে রামপাল তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবী জানানো হয়েছে। দলীয় সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়, রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অযৌক্তিকতা ও এর সুদূর প্রসারী কুফল সম্পর্কে ২০ দলীয় জোট নেত্রী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিকে অবহিত করেছেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জোর দাবী জানান। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল্লাহ ফকির, এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ভারতকে কয়লা বিক্রির সুবিধা দেয়া ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কোনো কল্যাণ হবে না। সুস্থ বিবেক সম্পন্ন কোনো মানুষ এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের পক্ষে কথা বলেছেন বলে পত্র-পত্রিকায় প্রমাণ নেই। এরপরও ক্ষমতাসীনরা ভারতের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানীকে উক্ত বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে দেয়ার জেদ দেখালে তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে।
গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংগঠনের মহানগর আমির মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির মওলানা রুহুল আমীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা সাখওয়াত হুসাইন, মওলানা মাহফুজুর রহমান, মওলানা ফারুক আহমদ, মওলানা আবুবকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূইয়া, আজমল হোসেন, ছাত্রনেতা আবদুল কাদির প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা সুন্দরবনের বনাঞ্চল, পরিবেশ ও জীবসম্পদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনবে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে সুন্দরবনের অস্তিত্বকে বিপন্ন করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই -মানববন্ধনে খেলাফত মজলিস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ