বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বছর দেড়েক আগে স্ত্রী আয়েশা খাতুন পরকীয়ায় জড়িয়ে স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। সেই থেকে তিন ছেলে- রিয়াদ (৬), রিয়ান (৪) ও রিফাত (২) কে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন এক পা হারা স্বামী মহিদুল ইসলাম। কিন্তু তাতেও শান্তি মেলেনি তার ভাগ্যে। সম্প্রতি আয়েশার বাবা রুহুল আমিন মহিদুলের বিরুদ্ধে থানায় তার মেয়েকে গুমের অভিযোগ দিয়েছেন। শুধু কি মহিদুল, ওই অভিযোগে মহিদুলের বৃদ্ধ বাবা-মা, ভাই-বোন ও বোন জামাইদেরও বিবাদী করা হয়েছে। আর তাই গুমের অভিযোগ মাথায় নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে অসহায় পঙ্গু মহিদুলকে। মহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহদুলপুর বাদামতলার কেরামত আলীর ছেলে।
মহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ইঞ্জিনভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০০১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তাকে এক পা হারাতে হয়। ২০০৬ সালে একই এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে আয়েশাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। ভালই চলছিল সবকিছু। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে আসে তিনটি ছেলে সন্তান।
কিন্তু শ্বশুর রহুল আমিন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়লে সংসারে শুরু হয় অশান্তি। তখন থেকেই বাড়িতে বাইরের লোকজন আসতে শুরু করে। এরই মধ্যে জাহিদ নামে এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে আশেয়া। ২০১৫ সালে স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে তার সাথেই ঘর ছাড়ে আয়েশা। তখন মহিদুল থানায় জিডিও করেছিলেন। আয়েশা না ফেরায় সেই থেকেই মাতৃ স্নেহ বঞ্চিত তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মহিদুল। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মেলেনি তার জীবনে। সম্প্রতি মহিদুল ইসলামসহ তার স্বজনদের আসামি করে থানায় গুমের অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্বশুর রুহুল আমিন। আর এই অভিযোগের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানা-পুলিশ করে বেড়াচ্ছেন মহিদুল ইসলাম। কিন্তু কে শোনে কার কথা? কাঁদতে কাঁদতে মহিদুল ইসলাম বলেন, আমি তো কিছুই চাইনি। এখন কি তিন ছেলেকে নিয়ে বাঁচতেও পারবো না? তিনি অভিযোগ করে বলেন, আয়েশা যার সাথে চলে গিয়েছিল, সে তো ফিরে এসেছে। তাকে ধরে না ক্যান। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা, সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসিফ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। উভয়পক্ষের সাথে কথা বলা হয়েছে। উভয়পক্ষই বলেছে আয়েশার সাথে তাদের বছর দেড়েক যোগাযোগ নেই। এছাড়া পঙ্গু মহিদুলতো প্রথম থেকেই তার তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও অধিকতর তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।