Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংস্কৃতি চর্চা নয় বরং বিশ্বাসগত ভ্রান্তি দূর করার মাধ্যমেই জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব -প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে গতকাল রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে সংগঠনের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বলেছেন, গান-বাজনা আর নষ্ট সংস্কৃতি চর্চা করিয়ে কস্মিনকালেও আমাদের সন্তানদের জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখা যাবে না, যতক্ষণ না তার বিশ্বাসের পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। এ ধরনের ভ্রান্ত চিন্তা বরং জঙ্গিবাদকে আরো উস্কে দিবে। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ এদেশের তরুণ সমাজের বিশ্বাসের পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। অল্পবয়স্ক একজন তরুণের জঙ্গি হওয়ার জন্য সে একা দায়ী নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর জন্য পিতা হিসাবে যেমন আমি দায়ী, তেমনি আমাদের পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থাও দায়ী। ইসলামের বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষা না দেওয়ার কারণে সে আজ বিপথগামী হয়েছে। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন তার বিশ্বাসগত ভ্রান্তি দূর করা। অথচ সে শিক্ষা আজ আমরা দিচ্ছি না। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দূর করতে হ’লে অবশ্যই অবশ্যই আমাদের সন্তানদের সঠিক ইসলামী শিক্ষা দিতে হবে।
তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দাওয়াত বা আন্দোলকেই বলা হয় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’। যারা এই আন্দোলন স¤পর্কে কোন খবর রাখেন না তারাই ভুলবশত এই আন্দোলন সম্পর্কে নানা কথা বলেন। আজকে যাদেরকে জঙ্গি বলা হচ্ছে তাদের অনেকে নাকি রাফউল ইয়াদায়েন করে ছালাত আদায় করে। বাহ্যিক এই নমুনা দেখে অনেকেই ভুল বুঝছেন যে, আহলেহাদীছ জামা’আতের সবাই জঙ্গি। দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ কস্মিনকালেও কোনো রকম জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত ছিল না, আজও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক সরবরাহকৃত জুম’আর খুৎবার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে একথাই বুঝানো হচ্ছে যে, মসজিদগুলিই জঙ্গিবাদের প্রজনন ক্ষেত্র, খতীব সাহেবরাই জঙ্গিবাদ উস্কে দিচ্ছেন। অথচ হাযার বছর ধরে এদেশে খুৎবা চলছে, খুৎবা শুনে কখনো কেউ জঙ্গি হয়েছে বলে আজো পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। তিনি বলেন, এদেশের আলেম-ওলামারা খুৎবায় কি বলতে হবে তা ভালোভাবেই জানেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সরবরাহকৃত বিদ’আতী খুৎবা পড়তে তারা বাধ্য নন। দু’দিনব্যাপী কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক জালালুদ্দীন, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার ‘সোনামণি’ পরিচালক আব্দুল হালীম বিন ইলিয়াস, খুলনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা যেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা আমানুলাহ বিন ইসমাঈল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর ভাইস প্রিন্সিপাল নূরুল ইসলাম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ