Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আল্লামা আহমদ শফী রহ. মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো- হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ

হাটহাজারী (চট্রগ্রাম) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৫৯ পিএম

আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.কে হত্যার অভিযোগে কৃত মামলাকে 'রাজনৈতিক চক্রান্ত' এবং ওলামায়ে কেরামদের হয়রানি করার দুরভিসন্ধি বলে অভিহিত করে আজ সংবাদমাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতি পাঠিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিবগণ।

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ বলেন, আমিরে হেফাজত আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.এর স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরও হেফাজতে নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামাদের জড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের হেফাজত, আলেম ওলামা ও কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে ইসলমবিদ্বেষী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। তারা বলেন, আল্লামা আহমদ শফি রহ. এর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি যে, আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. এর স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নির্জলা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। হযরতের ইন্তেকালের তিন মাস পর ঐ কুচক্রী মহল তাঁর মৃত্যুকে অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়ে কোন অদৃশ্য রাজনৈতিক শক্তির ইন্ধনে দেশের স্থিতিশীল অবস্থা বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি চালিয়ে যাচ্ছে।

হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ তুলে যারা মামলা করেছে, তারা একটি চিহ্নিত দালালগোষ্ঠী। তারা দেশের আলেম সমাজ ও সচেতন তৌহিদি জনতার কাছে প্রত্যাখ্যাত। এই চিহ্নিত দালালগোষ্ঠী আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে জিম্মি করে হাটহাজারী মাদরাসায় ব্যক্তিতন্ত্র কায়েম করে রেখেছিল। সেখানে নানা অনিয়ম এবং ছাত্রদের ওপর অব্যাহত হয়রানি ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলা হয়েছিল। এছাড়া বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষককে মাদরাসা থেকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করে বের করে দেয়া হয়েছিল, যা ছিল অত্যন্ত অবমাননাকর। তাদের অনিয়ম ও ক্রমাগত হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্ররা জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছে। যা সরকার, আইন শৃংখলাবাহিনী ও দেশবাসীর কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণিত।

তারা বলেন, হায়াত মওতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষের মৃত্যু সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছায় হয়ে থাকে। আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছিল। মামলায় তথাকথিত হত্যার যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো অতিরঞ্জন ও মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ এবং হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দায়েরকৃত মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এবং বিবরণে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা কেউ এর সাথে সম্পৃক্ত নয়। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে দায়েরকৃত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।

বিবৃতিদাতা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিবগণ হলেন, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা শফিক উদ্দীন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্রগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ