Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে ফের শৈত্য প্রবাহ, জনজীবন স্থবির

গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সে.

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:৩০ পিএম

কুড়িগ্রামে আবারো তাপমাত্রা কমে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।আরেক দফা মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে।বুধবার দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় গোটা জনপদ । বুধবার সকাল ৯টায় রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান,গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা অনেক কমে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।এটি গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা।তবে দু একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরো অনেক মাত্রায় কমে আসবে বলে জানান তিনি।

এদিকে,গত তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশার প্রভাব বেড়ে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে পড়েছে।মৃদু শৈত্য প্রবাহে এখানকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে রাতভর এবং সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে উত্তরের এ জনপদ। দুপুর গড়িয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা যায়না। ফলে শীতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হয় বেশি।এ কারণে এখানকার খেটে খাওয়া দিনমজুররা পড়েছে চরম বিপাকে।উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দলন গ্রামের বাসিন্দা মোজাফফর আলী বলেন,এত শীত পড়চে হামার এটে বাহে। হামরা গরিম মানুষ কটে যামু।এলাও কাইয়ো শীতের একনা কাপড়ও দিলনা।হামরা শীতের কাপড় চাই।অন্যদিকে,সদরের হালাবট এলাকার কৃষক মজিদ মিয়া জানান,এক দফা শৈত্য প্রবাহ হয়ে জমির বোরো বীজতলা কিছু ক্ষতি হয়।আবার শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে এবার যে কী হবে জানিনা।বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি বীজতলা ক্ষতি হলে রোপন করা অসম্ভব হবে।

এছাড়াও শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় সুর্যের আলো না থাকায় হেড লাইট জ্বালিয়ে অনেককেই যানবাহন চালাতে দেখা যায়।ডায়রিয়া,নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বিগত সময়ের চেয়ে হাসপাতালসমূহে বেড়েছে।তবে এ অবস্থা বিরাজ করলে রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা চিকিৎসকদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৈত্য প্রবাহ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ