চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনটির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল রবিবার (১০ জানুয়ারি)। কিন্তু মামলার বাদী সালমান শাহের মা প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। এরপর আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন। রবিবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন সালমান শাহের বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান কমরউদ্দিন। এই অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন আদালত।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। পরে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে সিআইডির এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সালমানের পিতা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচারবিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত।
দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। এরপর মামলাটি পিবিআই তদন্ত করেছে। সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি। পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি।