পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে গতকালও দুই দল রোহিঙ্গার মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ঘটে। এতে নুর হাকিম নামের একজন নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন। হতাহতরা সবাই রোহিঙ্গা। গত শনিবার রাত পৌনে চারটার দিকে টেকনাফ উপজেলার চাকমারকুল ২১ নম্বর ও উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের ৪১৯ নম্বর ঘরের বাসিন্দা হোসেন আলীর ছেলে।
এ তথ্য জানিয়েছেন, কক্সবাজার ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি বলেন, রাত দেড়টার দিকে উখিয়ার হাকিম পাড়া ও জামতলি রোহিঙ্গা শিবির থেকে ১২০-১৩০ জনের সশস্ত্র দল টেকনাফের চাকমারকুল ও উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা শিবিরে যান। রাত পৌনে চারটার দিকে চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরের তোহা বাহিনীর সঙ্গে তাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে রোহিঙ্গা যুবক নুর হাকিম ঘটনাস্থলে মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফে চাকমারকুল রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সহকারী কর্মকর্তা (সিআইসি) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, শিবিরে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, এককালের সমৃদ্ধ জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের নির্মূলে ষড়যন্ত্র হয়েছে বার বার। মিয়ানমারের আদিভূমি থেকে উচ্ছেদে নানা ছুতোয় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান হয়েছে অর্ধশতেরও বেশি। এসব অভিযানে নিহত হয়েছেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। দেশ ছেড়েছেন অসংখ্য রোহিঙ্গা নাগরিক।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে বসবাসের সুযোগ করে দেয় সরকার। বাংলাদেশ সরকার তাদের পাশে দাঁড়ায়। দেশি-বিদেশি এনজিওসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে নিয়ে সরকার রোহিঙ্গাদের এ পর্যন্ত মানবিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। মানবিকতার নামে কিছু কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের উস্কানি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগিয়ে তাদেরকে প্রত্যাবাসন বিরোধী ও হিংস্র করে তোলার অভিযোগ উঠেছে।
একইভাবে ওই উস্কানিদাতারা রোহিঙ্গাদের নিজেদের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগিয়ে ক্যাম্পগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে এবং স্থানীয়দের সাথে বিবাদে জড়িয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মর্যাদা নষ্ট করেছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে একটি সন্ত্রাসী জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে তারা। অথচ সাধারণ রোহিঙ্গারা তাদের আদি নিবাস মিয়ানমারের আরাকানে ফিরে যেত রাজী। কিছু উগ্র রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে এপর্যন্ত কয়েকশ’ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়েছে। গ্রামবাসী এবং তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।