রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা জোরে এখন সবুজের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় বিস্তীর্ণ আলুর জমি। আলুর জন্য বিক্ষাত হলেও গত কয়েক বছর ধরে আলুর জমিতে একসাথে একাধিক ফসল আবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। একই সাথে একাধিক ফসলে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় এর চাষাবাদ জনপ্রিয় হচ্ছে এ উপজেলায়। আবার আলু চাষ না করেও অনেকে একি জমিতে বছরে ১২ ধরনের ফসল আবাদ করে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলুর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া ও জমির চারপাশে ফুলকপি,সূর্যমূখী আবাদ করা হয়েছে। কেউবা আলুর সাথে উস্তা, আখ আবার কেউ বেগুনের সাথে চাল কুমড়া চাষ করছে। এছাড়া অনেক কৃষক একি জমিতে লাল শাক, মূলা, মূলা শাক ,লাউ, সিম ,ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, শসা,পুঁইশাক ও বর্ষা মৌসুমে ধান চাষ করা হয়। আর পানি না আসলে লাউসহ অন্য সবজি চাষ করা হবে।
দক্ষিণ আবিরপাড়া গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, আমি ৭০ শতাংশ জমিতে বছরে ১২ ধরনের ফসল চাষ করে থাকি। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝিতে লাল শাক,সাদা মূলা, মূলা শাক অগ্রহায়ণ মাসে বিক্রি করে শেষ। এখন জমিতে রয়েছে ,লাল শাকের বীজ গাছ ও জাংলায় রয়েছে লাউ,সিম এগুলো ফাল্গুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই শেষ। তারপরেই জাংলায় দেয়া হবে ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া ও নিচে শসা ও পুঁইশাক। এ ফসল আষাঢ় মাস পর্যন্ত থাকবে। বর্ষার আগে আষাঢ় মাসেই ৫১ নং ধানের জালা অন্য জায়গায় ফেলা হবে। শ্রাবণ মাসে ধানের চারা রোপণ করা হবে। আমি রাসায়নিক সার ও গরুর বিষ্ঠা জমিতে ব্যবহার করে থাকি। আমি এ জমি থেকে বছরে সব খরচ বাদদিয়ে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় হয়।
একি গ্রামের কৃষক দুলাল বলেন, ৮ গন্ডা জমিতে আমি আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া ও জমির চার পাশে ফুলকপি চাষ করেছি। আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া ও ফুলকপি চাষে তেমন কোন খরচ নেই। আলুর জমিতে যে সার ও কীটনাশক দেওয়া হয় তাতেই চলে। বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে সর্বশেষ মিষ্টি কুমড়া তোলার পর একি জমিতে ডাটা বা পুঁইশাক চাষ করবো।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ১ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে যা গতবছরের তুলনায় এ বছর ২ শত ২৪ হেক্টর সবজি কম চাষ হয়ছে। আলু চাষ করা হয়েছে ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহসিনা জাহান তোরণ বলেন, সাথি ফসল এটা নতুন না তবে এখানে এটা প্রচলন ছিলোনা। এখন কৃষকরা অল্প জমিতে কিভাবে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারে সে লক্ষে মাঠে আমরা কাজ করছি। সরকারি বিভিন্ন প্রনোদনাসহ কৃষকদের আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। আগের তোলনায় সাথি ফসল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।