Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরণখোলার লোকালয়ে বাঘ আতঙ্ক!

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:২২ পিএম

শরণখোলার লোকালয়ে আবারো বাঘ আতঙ্ক! শনিবার রাতে সুন্দরবন থেকে একটি বাঘ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাঘটি ওই গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিচরণ শেষে আবার বনে ফিরে যায়। বাঘের পায়ের অসংখ্য ছাপ পড়ে রয়েছে গ্রামের ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, নদীর চরে। রবিবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ নজরে আসে গ্রামবাসীর।

বনবিভাগ জানায়, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারাণী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন খাল সাঁতরে বাঘটি গ্রামে চলে আসে। রাতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শনিবার সকালে নাংলী টহল ফাঁড়ির কাছ থেকে বাঘটি আবার বনে ফিরে যায়। এর তিন মাস আগে (৭ অক্টোবর-২০২০) আরো একটি বাঘ পশ্চিম রাজাপুর গ্রামে এসেছিল।
এদিকে, বাঘ আসার খবরে দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহীম খান, সোবাহন হাওলাদার জানান, তাদের গরু-মহিষ রক্ষায় গোয়ালে শক্ত ঘেরা দিয়ে রাতে আলো জ্বালিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছেন।

ওয়াইল্ড টিমরে শরণখোলার মাঠ কর্মকর্তা আলম হাওলাদার ও ভিটিআরটির দাসের ভারাণী ইউনিটের সদস্য আব্দুল্লাহ আল আমীন সুমন জানান, প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য পায়ের ছাপ দেখতে পান। পরিমাপ করে দেখা গেছে পায়ের ছাপের ব্যাসার্ধ ৯ সেন্টিমিটার। ছাপের আকৃতি দেখে বাঘটি ‘মাদি’ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বনবিভাগের দাসের ভারাণী টহল ফাঁড়ি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বনরক্ষীরা গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রবিবার বিকেলে শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তার নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাঘ আতঙ্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ