পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ আজ আলোয় ঝলমল করছে।
গতকাল শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘কর্মজীবনের কর্মশালা- তরুণদের কর্শদক্ষতা ও কর্ম-পরিকল্পনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ দেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সে বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। সে কারণেই শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারায় দেশের প্রতিটি জনপদ আজ আলোয় ঝলমল করছে।
তিনি বলেন, জাতি আজ লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সেবা খাত। বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ সুবিধা এখন বিশ্বমানের। ছাত্র রাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যারা এখনো তরুণদের পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সা¤প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদেরকে এসব নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসাতে হবে। তরুণরা মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রযুক্তি যেমন বদলে দিয়েছে তেমন এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে, অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে। এসব বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। তারুণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার ও ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজ করছে। মেধাবীদের রাজনীতিতে সস্পৃক্ত করতে হবে। তারা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূণ্য হয়ে পড়বে। চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাত চলে যাবে।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা ‘সিআরআই’ এর সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।