পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মন্দির স্থাপন করছে সরকার। যশোরের আট উপজেলায় ৩৩টি মন্দিরের সংস্কার ও উন্নয়নে ৩ কোটি ৩০ লাখ অনুদান দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অসা¤প্রদায়িকতার দেশ। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এমন এক অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে। তার নীতি অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মন্দিরে বরাদ্দ সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, এ দেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করছেন এবং সবাই সমান অধিকার নিয়েই বসবাস করবেন। মন্দিরের উন্নয়নে সার্বজনীনভাবে কাজ করতে হবে। নিজের মনকে ঠিক করলেই মন্দির গড়া সম্ভব।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেবোত্তর সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মন্দিরের নির্মাণ শুরু করেছে। তার পাশাপাশি মসজিদ, গির্জা নির্মাণসহ নানা ধর্মের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যশোরের আট উপজেলায় ৩৩টি মন্দিরের প্রত্যেকটিতে ১০ লাখ টাকা সংস্কার ও উন্নয়নের অনুদান দিয়েছে। এসব মন্দিরে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হবে। মন্দিরগুলো নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সনাতন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রণজিৎ কুমার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শ্যামল সরকার, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক যোগেশ চন্দ্র দত্ত। এছাড়া যশোরের আট উপজেলার পূজা পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতাসহ বিভিন্ন মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।