পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাঁচা তুলা আমদানি শূণ্য শুল্কের রাজস্ব সুবিধায়। অন্যদিকে সোফার (দামি ও মোটা থান কাপড়) ফ্রেব্রিকসের ওপর ৮৯ শতাংশ শুল্ক আরোপযোগ্য। সেই শুণ্য শুল্কের কাঁচা তুলা আমদানির মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্ক-করের সোফার ফেব্রিকস খালাসের অপচেষ্টাকালে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি চালান চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপোতে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরফলে প্রায় দেড় কোটি টাকা শুল্ক-কর ফাঁকির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন আইসিডি দিয়ে আমদানি ডকুমেন্টে মিথ্যা ঘোষণায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী খালাসের অসৎ প্রবণতা চলছেই। এর পেছনে জড়িত বন্দর-কাস্টমসের একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে অসৎ ব্যবসায়ী-আমদানিকারকদের সিন্ডিকেট। অর্থ মন্ত্রণালয় তথা সরকারের হার্ড লাইনের কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। একের পর এক আটক করা হচ্ছে মিথ্যা ঘোষণায় আনীত চালান। কেননা মিথ্যা ঘোষণার কারণে কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পূরণ চাপের মুখে পড়ছে। কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখা তৎপর এই চক্রের বিরুদ্ধে।
উচ্চ শুল্ক-কর আরোপযোগ্য পণ্যসামগ্রীর চালান আমদানি করেই নি¤œ শুল্কের কিংবা নামমাত্র ও শূণ্যশুল্কের পণ্য হিসেবে মিথ্যা ঘোষণার আমদানি ডকুমেন্টে দেখিয়ে বড়সড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেক সময়ই ডকুমেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী উচ্চশুল্ক আরোপযোগ্য চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায় নামমাত্র বা কম পরিমাণে। ইট-বালি, পাথর, মূল্যহীন জিনিসপত্র অনেক কন্টেইনারে ভর্তি হয়ে আসে। এমনকি খালি এবং অনেকটাই খালি কন্টেইনার আসে, খালাস হয় চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে এবং বেসরকারি আইসিডিসমূহে (অফডক)। কাস্টমসের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে এবং শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় ধরা পড়ে এ ধরনের চালান। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে বিদেশ থেকে রফতানিকারক বা সাপ্লাইয়ার অধরাই থেকে যায়। মিথ্যা ঘোষণা ও ডকুমেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিদেশের রফতানিকারক বা সাপ্লাইয়ারের প্রতারণারও শিকার হচ্ছে।
এদিকে গতকাল ধরা পড়া মিথ্যা ঘোষণায় আনীত চালানে প্রায় শূন্য শুল্কের কাঁচা তুলার পরিবর্তে উচ্চতর শুল্কের সোফা ফেব্রিকস মিলেছে। সে ক্ষেত্রে শুল্কের হার প্রায় ৮৯ শতাংশ। প্রাথমিক হিসাবে, আমদানিকারকের মিথ্যা ঘোষণার ফলে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়।
কাস্টমস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার জুবিলি রোডের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইএন এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে ৪০ ফুট দীর্ঘ ২টি কন্টেইনারের মাধ্যমে ৪১ হাজার ১২০ কেজি কাঁচা তুলা আমদানির ঘোষণা দেয় তাদের ডকুমেন্টে। এরপর কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খালাস পর্যায়েই ডেলিভারির জন্য এসহাক ব্রাদার্সের কন্টেইনার ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই চালানটির আমদানির বিল অব এন্ট্রি নম্বর (সি-১৫০২০), তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১।
এদিকে বুধবার গভীর রাতে আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ প্রগতি কার্গো সার্ভিসের প্রতিনিধি গোপনে কন্টেইনার খুলে পণ্য ট্রাকে লোড করা অবস্থায় কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের চালানটি আটক করেন। এই চালানটিতে শূন্য-শুল্কের কাঁচা তুলার পরিবর্তে উচ্চতর শুল্কের (৮৯ শতাংশ) সোফা ফেব্রিকস থরে থরে ভর্তি অবস্থায় পাওয়া যায়। যার ফলে প্রায় দেড় কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা চলে।
কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় আমদানিকারকের বিরুদ্ধে শুল্ক-কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা এবং সিঅ্যান্ডএফের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।