পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। ওই সময়ের আগে গ্রাহকদের হাতে থাকা সচল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এজন্য ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন বৈধ না অবৈধ তা জানার জন্য একটি সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) নামের এই সিস্টেমটি আগামী ১ জুলাই চালু হবে। এরপর থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
কবে নাগাদ অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধ করা হবে প্রশ্নে বিটিআরসি প্রধান বলেন, যে সেটগুলো গ্রাহকের হাতে আছে তাদেরকে ডিসটার্ব না করে কাজটি করতে চাই। যে সেটগুলো চালু আছে তাদের ইনকর্পোরেট করে নেব, সে সুযোগ দেব। নতুন যেগুলো আসবে সেগুলো অবশ্যই নিবন্ধন হয়ে আসতে হবে। আমার সেই প্রক্রিয়ায় যাব, আমরা গ্রাহকদের কোনো সমস্যায় ফেলতে চাই না। আগামী ১ জুলাই থেকে অবৈধ সেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিদ্যমান যে সেটগুলো গ্রাহকের হাতে থাকবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব যাতে সমস্যা না হয়। ১ জুলাই সব চালু সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেটরদের মাধ্যমে নিবন্ধন হয়ে যাবে।
তিনি জানান, এরই মধ্যে আইএমইআই ডাটাবেজে ১৪ কোটি আইএমইআই নম্বর যুক্ত হয়েছে। সাত কোটি মোবাইল সেটের তথ্যও যোগ করা হয়েছে। সিস্টেমটি চালু হলে বিদ্যমান সব মোবাইল নিবন্ধিত হয়ে যাবে। এরপরে যেসব মোবাইল দেশে নিয়ম মেনে ঢুকবে না, সেগুলো সচল হবে প্রক্রিয়া মেনে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল ফোনের সেবার মান খুবই খারাপ। কল ড্রপ, কথা না শোনাসহ অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। এ সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। সবই মোবাইল ব্যবহারকারীদের অভিযোগ। শর্টকোডসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এসব অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।
অপারেটর, টেলিকম সেবার সঙ্গে জড়িতদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আমরা অনিয়মকে রেগুলেট করবো আর ব্যবসাকে ফ্যাসিলিটেট করবো। ফাইভ-জি নিয়ে শ্যাম সুন্দর বলেন, গাইড লাইন তৈরি হচ্ছে, টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ফাইভ-জির বাস্তবায়ন শেষ হবে। নির্বাচনি ইশতেহারেও তেমনটি উল্লেখ আছে।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম বলেন, আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। সেট বৈধ কিনা তা এখন যাচাই করা যাচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি প্রতিটি অপারেটর ম্যানুয়ালি আমাদের জানাবে নতুন কোন সেটগুলো তাদের নেটওয়ার্কে আছে। এগুলো ম্যানুয়ালি অননেট চেক করে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে জানাব সেটটি বৈধ কি অবৈধ। বাকিগুলো যেটা অপারেশন করে বন্ধ করা হবে সেটি ১ জুলাই থেকে অনলাইন করা হবে। আমারা চিন্তা করছি, যে তথ্য অপারেটররা জানাবে তা নেটওয়ার্কে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে যদি দেখা যায় তা অবৈধ তাহলে বøক করা হবে । বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে জনগণকে বলা হচ্ছে যাচাই করে সেট কেনার জন্য।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্র, কমিশনার (লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।