বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরে শত বছরের অধিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর কারাগার থাকাকালীন অবস্থায় বহুবার চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। গত ১০ বছর পূর্বেও বাংলাদেশের মধ্যে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় প্রথম স্থানে ছিল। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভালো না।
জানা যায়, কিছু কুচক্রী স্থানীয় ডাক্তারদের সহযোগীতায় হাসপাতালটি থেকে ফরিদপুরের প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। এখনো প্রতিদিন গড়ে ৮০০-১০০০ রোগীর চিকিৎসা সেবা নিতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আসে। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে সাধারণ রোগীরা সেবা পাচ্ছে না। রোগীরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে যায়।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে সর্বমোট ৩৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন আবাসিক চিকিৎসকসহ মাত্র ৭ জন। গুরুত্বপূর্ণ যে সকল ডাক্তারগুলো নেই সে চিকিৎসকগুলো হলেন- সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থপেডিক, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি, জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, সিনিয়র কনসালটেন্ট শিশুসহ ৩০ জন চিকিৎসক।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন প্রধান সহকারী জালাল জানান, প্রতি মাসেই আমরা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালককে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক নেই বলে অবগত করি। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে আমরা কোনো চিকিৎসক পাচ্ছি না ।
সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি কুচক্রী মহলের সহযোগীতায় ডাক্তাররা এই হাসপাতালে বদলি হয়ে আসে। এতে চিকিৎসকদের সুবিধা ফরিদপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের নামটি ব্যবহার করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বার নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া। ঐ সকল ডাক্তারদের ধারণা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত থাকলে বেসরকারি রোগী কম পাওয়া যাবে। আর এ সকল ডাক্তারদের সহযোগীতা করেন স্থানীয় ক্লিনিক মালিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।