Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিন্ন কিছু করার জন্য কাজটি করেছি -নানজীবা খান

বিনোদন রিপোর্ট : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

তরুণ মেধাবী নির্মাতা নানজীবা খান সম্প্রতি বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের নিয়ে নির্মাণ করেছেন জনসচেতনতামূলক এক্সপেরিমেন্টাল ডকুফিল্ম ‘দ্য আনওয়ান্টেড টুইন’। এর গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন নানজীবা। পরিচয়হীন শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে নারী উন্নয়নকে কেন্দ্র করে এটি নির্মিত হয়েছে। ডকুফিল্মটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানজিবার সাথে বিনোদন প্রতিদিনের কথা হয়।
দ্য আনওয়ান্টেড টুইন নামকরনের কারণ কি ?
অনেকে মনে করতে পারেন, এটি যমজ মানুষদের নিয়ে কোনো কাজ। বিষয়টি তা নয়। আক্ষরিক অর্থে আনওয়ান্টেড মানে অবাঞ্ছিত। এতে আমি মানুষের লুকায়িত দ্বৈত সত্ত্বাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মানুষের দুই ধরনের চেহারা ভাগ করে কাজ করেছি। এটি একটি এক্সপেরিমেন্টাল সিএসআর (কর্পোরেট সোসিয়াল রেসপন্সিবিলিটি) প্রজেক্ট। যেখানে ১৭ টি এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) কে কেন্দ্র করে ২০০ টি সামাজিক সমস্যা ভিজুয়াল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ও ফটোশুটের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
এর বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা কিভাবে করা হয়েছে?
আমরা চেহারা ভাগ করে কাজ করছি। এক সাইডে পজেটিভ আরেক সাইডে নেগেটিভ ক্যারেক্টার। ধরে যাক, আমরা পানি দূষণ যেভাবে তুলে ধরেছি, একপাশে প্রাণবন্ত লুক আর হাতে পরিস্কার পানি, আরেকপাশে চোখের ডার্ক সার্কেল, মুখে ব্রণের দাগ অসুস্থ লুক আর হাতে ময়লা পানি। কোটেশন হতে পারে ‘দূষিত পানি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’। এভাবে ফেইস আর্ট, প্রপ্স ও গ্রাফিস্কের ব্যাকগ্রাউন্ড এই ৩টি জিনিসের কম্বিনেশনে আমরা ২০০ টি ইস্যু তুলে ধরেছি।
এতে কারা কাজ করেছে?
এতে আমি প্রায় সবক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের নিয়ে কাজ করেছি। শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি শাখাওয়াত মুন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সাংবাদিক জ ই মামুন, আবৃত্তিকার শিমুল মোস্তফা, অভিনেতা আসাদুজ্জামান নুর, অভিনেত্রী দিলারা জামান, শম্পা রেজা, আফসানা মিমি, বন্যা মির্জা, হৃদি হক, মৌসুমি হামিদ, জাকিয়া বারী মম, মারিয়া নূর, স্বাগতা, সানারাই দেবী শানু, নওশাবা, নাদিয়া, চাঁদনী, হোমায়রা হিমু, অর্ষা, অ্যানি খান মুনমুন আহমেদ, মৌটুসি বিশ্বাস, সারিকা সাবাহ, অহনা, ফারজানা চুমকি, অভিনেতা শাহিদুল আলম সাচ্চু, মীর সাব্বির, জিতু আহসান, মনির খান শিমুল, শতাব্দী ওয়াদুদ, হাসান মাসুদ, মিশু সাব্বির, ইরেশ যাকের, মাজনুন মিজান, নাঈম, অন্তু করিম, তাউহিদ আফ্রিদি, উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস, তানজিব সারোয়ার, আরজে নীরব, ডি জে সনিকা, পিন্টু ঘোষ , মাবরুর রশিদ বান্নাহ, কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ, পূজা, লুইপা, বেলাল খান, ইলিয়াস হোসাইন, জুয়েল, ঝিলিক, প্রতীক হাসান, সুকন্যা তিথি, ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক ও লিপি খন্দকার, সানজু জন, ছন্দা, শিরিন আলম সহ কর্পোরেট, পলিটিক্যাল, মিডিয়া ও বিভিন্ন পেশার ২০০ জন আইকনরা মডেল হিসেবে কাজ করেছেন।
এত বিশিষ্টজনদের কিভাবে এক করলেন?
এজন্য অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। প্রত্যেকের কাছে ডকুফিল্মের বিষয়বস্তু তুলে ধরতে হয়েছে। তারা এর থিম বুঝে সন্তুষ্ট হয়ে সহযোগিতা করেছেন। তারা এটিকে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিয়েছেন। ফলে তারা কাজটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে করতে রাজী হয়েছেন। বিষয়টি সহজ ছিল না। তাদের এর গুরুত্ব তুলে ধরতে হয়েছে।
অন্যান্য সহযোগিতা কেমন পেয়েছেন?
এটি স¤পূর্ন আমার ব্যক্তি উদ্যোগে করা একটি প্রজেক্ট। এছাড়া নোকিয়া, এম এম সি, ইগলু, ইফাদ, এসি আই, সুজুকি, দারাজ, ওয়াল্টন, এনটিভি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্পোরেট কো¤পানি, ফ্যাশন ব্যান্ড এবং ইউনিসেফ, ইউএনডিপি সহ মোট ৪১ টি প্রতিষ্ঠান স্টুডিও, পোশাক, প্রমোশন, রিসার্চ ইত্যাদি লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে এই প্রজেক্টের ফটোশুট সেগমেন্টে কোলাবরেশনে কাজ করেছে।
ব্যক্তি উদ্যোগে প্রজেক্ট করার উদ্দেশ্য কি?
টাকার জন্য কেউ এক্সপেরিমেন্টাল করেনা। এক্সপেরিমেন্টাল প্রজেক্টে কেউ টাকা দিবে কেন? এটি আমার প্রায় ৪-৫ বছরের রিসার্সের একটি প্রজেক্ট। গধবাঁধা একই রকম সামাজিক কাজ দেখতে দেখতে দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই ভাবলাম ভিন্নভাবে কিছু করা যেতে পারে। তাই সবার চেহারা নিয়ে স্টাডি করে আইডিয়া ডেভেলাপ করে কাজটি করেছি।
এটি কার দেখবে?
একটি বাচ্চা মুখে রঙ লাগানোর জন্য দেখবে, একজন তরুণ দর্শক আর্টিস্টের ফেইসভ্যালুর জন্য দেখবে আর একজন বয়স্ক লোকের কাছে পুরাটাই হিবিজীবী মনে হবে কিন্তু সে দেখবে। কথা হলো, সবার দেখতে হবে কিন্তু সবার বুঝা দরকার নাই। এটি সবার জন্য না। এই প্রজেক্টটি আমি চাই, সবাই দেখুক কিন্তু এটার বিষয়গুলা নিয়ে তারাই ভাবুক যারা ভবিষ্যতে পলিসিমেকার হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
এটি কোথায় রিলিজ হবে?
সম্প্রতি সিনেম্যাকিং ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘জুরি মেনশন ডকুমেন্টারি ফিল্ম”’হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে। এখন এটি সেন্সরে আছে। শীগ্রই কোনো টেলিভিশণের পর্দায় দেখতে পাবে দর্শক। প্রজেক্টির প্রচারণায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে ইউজিবি (ইউনাইটেড গ্লােরি অব বাংলাদেশ)। আমাদের ফার্স্ট লুক রিলিজ দেওয়া হয়ে গেছে। এই মাস থেকে ইউজিব’র অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে বুস্ট করা হবে। এছাড়া দ্য আনওয়ান্টেড টুইনসহ জড়িত কোম্পানি, সংস্থা ও ফ্যাশন ব্র্যান্ডেগুলোর ফেইসবুক পেইজে দেখা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দ্য-আনওয়ান্টেড-টুইন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ