বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শীতের ভরা মওশুমে আলু ও রায় সরিষা ক্ষেতের হলুদ সবুজে হাসছে বগুড়া কৃষি অঞ্চলের মাটি । গ্রামের পরে গ্রাম যেদিকেই চোখ যাকনা কেন চারিদিকে শুধু হলুদ সবুজের অপরুপ সমারোহ !
শীত বা রবি মওশুমে বগুড়ার কৃষি অঞ্চলে প্রধানত আলু ও সরিষার চাষ হয়ে থাকে । বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার আলু এবং পাবনা ও সিরাজগঞ্জ রায় সরিষার জন্য বিখ্যাত । ওই ৪ জেলা নিয়ে গঠিত ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চল’ ।
কৃষি আফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বছওে বগুড়া কৃষি অঞ্চলে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে । সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বগুড়া ও জয়পুরহাটে। এর মধ্যে বগুড়ায় ৫৮ হাজার ৫শ ২৫, জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আলু । অন্যদিকে পাবনায় মাত্র ৯ম ৬০ এবং সিরাজগঞ্জে ২হাজার ৯শ ৫৫ হেক্টরে আলুর চাষ হয়েছে । মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৬০ হাজার ২শ ১০ মেট্রিক টন । বিদ্যমান আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও ২০/ ২৫দিন ভালো থাকলে আলুর শতভাগ ফলন নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মকর্তা আজিজার রহমান ।
এদিকে এবছর বগুড়া অঞ্চলে ইতোমধ্যেই ১ লাখ ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে । সবচেয়ে বেশি ৪৯ হাজার ৫শ’ ২৫ হেক্টও জমিতে চাষ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলায় । এরপর পাবনা জেলায় ৩১ হাজার ৫শ ৮০ , বগুড়ায় ২৬ হাজার ৯শ ৬৫ এবং জয়পুরহাট জেলায় ১১ হাজার ৩০ হেক্টও জমিতে চাষ হয়েছে রায় ও সরিষার । উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন । আবহাওয়া এখনতক অনুকুল থাকায় সরিষার বাম্পার ফরনের ইংগিত দিয়েছে কৃষি বিভাগের বøক সুপারভাইজাররা । তবে আগামী ১৫দিন যদি বৃষ্টি বাদল মুক্ত থাকে পরিবেশ তাহলে শতভাগ ফলনের আশা করছে বগুড়ার কৃষি বিভাগ ।
বগুড়া কৃষি অফিসের অতিরিক্ত আঞ্চলিক পরিচালক জি এম গফুরের মতে কৃষিতে অগ্রসর বগুড়া অঞ্চলের ৪ জেলার আলুর উৎপাদক চাষিরা ইতোমধ্যেই আগামজাতের আলু চাষ করে বাজারজাত করে ইতোমধ্যেই ভালো পয়সা পেয়েছে । আগামী ফেব্রæয়ারি / মার্চে পুরোদস্তর আলু বাজারে আসলে বর্তমানের চড়া দাম কমে আসবে । তার মতে সরিষা তেলের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ায় ক্রমশ সরিষাও লাভজনক রবিশস্য হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে । তিনি মনে করেন চাহিদার অতিরিক্ত আলু বিদেশে রফতানি নিশ্চিত করলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি নতুন খাত খুলে যাবে । অন্যদিকে সরিষা তেলের ব্যবহার বাড়লে সয়াবিন তেল আমদানি কমলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রার । সমৃদ্ধ হবে উত্তরের কৃষি অর্থনীতি ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।