Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাটোর নেসকোর জালিয়াতি

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

নাটোরে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ পরিসেবা প্রতিষ্ঠান নেসকোর বিদ্যুৎ বিলে মিটারের চেয়ে অতিরিক্ত রিডিং-এ অগ্রীম বিলের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত রিডিং উল্লেখ করায় অগ্রীম বিল পরিশোধ করতে হয় এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। এ ব্যাপারে নাটোর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ধোপাপাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী শামসুল এই অভিযোগ করেছেন। গত রবিবার রাত সাড়ে নয়টার পর সরেজমিনে গিয়ে শামসুলের মিটার রিডিং পরীক্ষা করে দেখা গেছে নভেম্বর মাসের বিলে উল্লেখ করা শেষ রিডিং আপডেটকে এখনও ছুঁতে পারেনি মিটার। এমন অভিযোগ নাটোরের একাধিক গ্রাহকের।

ভুক্তভোগী শামসুল জানান, করোনকালীন সময়ে কয়েক মাস অস্বাভাবিক বিল আসায় বিদ্যুতের ব্যবহার মিটার রিডিং পর্যবেক্ষণ করে আসছিলেন তিনি। গত ১৭ ডিসেম্বর বাড়িতে নভেম্বর মাসের বিলের কাগজ দিয়ে গেলে তিনি খেয়াল করেন ২১ নভেম্বরের বর্তমান রিডিং উল্লেখ করা হয়েছে ২৬৮৫ ইউনিট। তার আগের মাসে অর্থাৎ ২০ অক্টোবরের রিডিং উল্লেখ করা হয়েছে ২৫৩৫ ইউনিট। অর্থাৎ তাকে পরিশোধ করতে হবে অতিরিক্ত ১৫০ ইউনিট বিদ্যুতের বিল তাও আবার অগ্রিম। ঐ দিনই শামসুল তার মিটার পরীক্ষা করে দেখেন তখন পর্যন্ত রিডিং ছিল ২৬০৯ ইউনিট।

শামসুল আরও জানান, এরপর তিনি বিলের কাগজ নিয়ে নেসকো কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দিলে দায়িত্বরত কর্মচারীরা প্রথমে তাকে পাত্তা না দেয়ায় নেসকো’র রাজশাহী কার্যালয়ে অভিযোগ জানানোর নির্ধারিত ফরম চাইলে পরের মাসে বিল ঠিক করে দেয়া হবে বলে জানায় এবং লিখিত অভিযোগ না দেয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করে।

পরে ভুক্তভোগী শামসুল অসহায় হয়ে ফিরে আসেন এবং ২১ ডিসেম্বর বিল পরিশোধ করেন। ২১ ডিসেম্বর ২৬৮৫ ইউনিট পর্যন্ত বিল পরিশোধ করলেও তারও ১৪ দিন পর গত রোববার রাত সাড়ে নয়টার পরে শামসুলের বাড়ির মিটার রিডিং মিলিয়ে দেখেন মিটার রিডিং চলছে কেবল ২৬৩৪ ইউনিট। আলাইপুর নিবাসী অপর ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন, শুকুল পট্টি নিবাসি ব্যবসায়ী টুটুলসহ অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, অক্টোবর মাসে একই রকম অতিরিক্ত ইউনিটের বিল পরিশোধ করেছেন যা তিনি ব্যবহারই করেননি।

এমন আরও কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে নেসকো লিমিটেড নাটোরের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল আজিম ইমান জানান, এমন কোন অভিযোগের কথা তিনি জানেন না। তবে তিনি স্বীকার করেন যেহেতু মিটার রিডিং লেখার জন্য চুক্তিভিত্তিক লোক নিয়োগ করা হয়ে থাকে বিধায় তাদের অদক্ষতার কারণে দু’একটি ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জালিয়াতি

৬ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ