বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী এলাকার তোতকখালী সিকদারপাড়া হাফেজিয়া ইউনুছিয়া রহমানিয়া মাদরাসায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় তছনছ করা হয়েছে মাদরাসার আসবাবপত্র এবং ছিঁড়ে ফেলেছে ধর্মীয় বই পুস্তক। মাদরাসার সুপার মুফতি আসাদ আবদুল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করেছেন তাজ উদ্দিন সিকদার তাজমহল। গায়ের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অবস্থা দেখে মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১০ টার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা তাজ উদ্দিন সিকদার তাজমহলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে, রাতের অন্ধকারে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র হামলা, ভাঙচুর ও শিক্ষক নাজেহালের প্রতিবাদে মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে এলাকাবাসী দাবী করেন তাজমহল মেম্বার এলাকার একজন সন্ত্রাসী এবং মদ্দপ খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি এর আগেও এলাকায় নারী নির্যাতন থেকে শুরুকরে জমি দখল পাহাড় কাটা,মাটি বিক্রিসহ সমস্ত অপরাধের মুলহোতা।
মুহতামিম মাওলানা কাজি জাফর আলমের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার ওলামা পরিষদ ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন- ধাওনখালী মাদরাসার মুহতামিম প্রবীন আলেম মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম, রামু রাজারকুল মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ মুহছেন শরীফ, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, চাকমারকুল মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিকদার, মাছুয়াখালী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নেজাম উদ্দিন, বাংলা বাজার জায়েদ বিন ছাবেত মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, খুরুশকুল অদুদিয়া তালিমুদ্দীন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা এমদাদ, জুমছড়ি দারুল ইরফান মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ছৈয়দ নুর ফারুখ, চাকমারকুল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, পোকখালী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নাসির উদ্দিন, আশরাফ আলী, ক্বারি মাওলানা জহির, মাওলানা মাহবুব উল্লাহ। বিক্ষুব্ধ জনতার সমাবেশে ঘটনার বিস্তারিত উপস্থাপন করেন মাদরাসার সুপার মুফতি আসাদ আবদুল্লাহ।
এসময় কিভাবে হামলা ও মাদরাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে তার চিত্র তুলে ধরা হয়।
জানা গেছে তিন বছর আগে একটি ঘটনার শালিস করেছিলেন সুপার আসাদ আবদুল্লাহ। তখন থেকে ক্ষিপ্ত ছিল তাজমহল, এমনটি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে হামলা কোনভাবে মেনে নেবে না স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার দাবি, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা তাজ উদ্দিন সিকদার তাজমহলের বিরুদ্ধে হত্যা,ধর্ষণ, বিভিন্ন অভিযোগে অনেক মামলা রয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও আচার আচরণে পুরো এলাকায় তিনি চরম বিতর্কিত।
জানা গেছে খোদ দলীয় নেতাকর্মীরা তার বিতর্কিত কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ। তাজ উদ্দিন সিকদার তাজমহল পিএমখালী ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং মৃত কলিম উল্লাহ সিকদার কালুর ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।