রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মোঃ গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলছে দীর্ঘদিনের পুরনো জরাজীর্ণ মাটির ঘরে। দুপচাঁচিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়নটি হলো দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন। সেই মন্ধাতা আমল থেকেই দোচালা একটি মাটির ঘরে চলছে এই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। চলতি বছরে গত ২৮ মে এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৯ জুলাই বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি শপথ গ্রহণ করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। ফলে ভারপ্রাপ্ত পুরাতন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ ফকির পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ২০০০ সালে অত্র ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে দুপচাঁচিয়া পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের মাটির ভবনটি অবস্থিত। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়ন এলাকায় নতুন একটি ভবন নির্মাণের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় জায়গা না পাওয়ায় তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। ফলে দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদটি পৌর এলাকায় রয়ে গেছে। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন তোজাম জানান, পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়টি তার মাথায় রয়েছে। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পরিষদের ইউনিয়ন ভবন নির্মাণের ভালো জায়গার খোঁজ খবর রাখছেন। জায়গা পেলেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে নির্ধারিত আর্থিক চাহিদা চাইবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ পারভেজ জানান, উপজেরার ৬টি ইউনিয়নের ৩টিতে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হলো তালোড়া, জিয়ানগর ও গুনাহার ইউনিয়ন। ২টি চামরুল ও গোবিন্দপুরে এক তলা পাকা ভবন রয়েছে। এর দুইটিতে পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। দুপচাঁচিয়ায় কোন ভবনই নেই। মন্ধাতা আমলের নির্মিত মাটির একটি ঘরে সেই থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলছে তো চলছেই। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করতে চাইলে সেই ইউনিয়ন পরিষদের জন্য কমপক্ষে ২৫ শতক নিজস্ব জায়গা থাকতে হবে। দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সে জায়গা নেই। অথচ এই ইউনিয়ন পরিষদের আয়ের উৎস বেশ ভালো। তারপরও কোন চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় জায়গা কেনার উদ্যোগ কেন গ্রহণ করেননি তার তিনি জানেন না। ফলে জায়গার অভাবে গুরুত্বপূর্ণ সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।