রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা
নির্ধারিত সময়ের আগেই পাট কেটে ফেলায় রাজবাড়ীতে ফলন খুব একটা ভালো হয়নি। এখন পাটের দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। সঠিক দাম না পেলে অনেকেই আগামীতে পাট চাষ করবেন না বলে জানিয়েছেন। কৃষকদের দাবি পাটের মূল্য অন্তত ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হোক। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার রাজবাড়ীতে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু তার থেকে ৮ হাজার হেক্টর বেশি ৪৮ হাজার জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪১ হাজার বেল। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৫ হাজার বেল পাট উৎপাদন হবে বলে ধারণা তাদের। গত বছর পাটের আবাদ হয়েছিল ৪১ হাজার ১৭৬ হেক্টর জমিতে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, রাজবাড়ী জেলা পাট আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। এজন্য পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। তবে সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট জাগ দেয়াতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে কৃষকদের। কোন কোন কৃষক রোপা আমন ধান বোনার জন্য আগেভাগেই পাট কেটে ফেলেছেন। এখন চলছে পাট জাগ দেয়া আর আঁশ ছড়ানোর কাজ। তবে দীর্ঘ সময়েও পাট পরিণত না হওয়ায় অনেক জায়গায় এখনও ক্ষেতেই রয়ে গেছে। চাষীরা বলছেন, এখন কাটতে না পারলে পাট নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কৃষকেরা জানান, এ বছর পাট আবাদের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত অনেক কম ছিল। তখন তিনটা সেচ দিতে হয়েছে। সেচে খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি দুই হাজার চারশ টাকা। আবার আগাছা পরিষ্কার করার জন্য খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ১২০০ টাকা। এখন পাট কাটা ধোয়াতে খরচ হচ্ছে ৭ হাজার টাকা। পানি না থাকার কারণে গাড়িতে করে পাট অনেক দূরে নিয়ে পচাতে হচ্ছে। এ বছর একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। সব মিলিয়ে খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। এসব কিছু মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে মোট খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু ফলন এবার অনেক কম। পাট বপনের সময় বৃষ্টি না হবার কারণে ছোটকা পোকা লেগে পাট খেয়ে ফেলে। আবার একটু বড় হবার পর বৃষ্টি বেশি হবার কারণে পাট ক্ষেতে বিছা পোকার আক্রমণ শুরু হয়। আমন ধান রোপণের কারণে অনেক কৃষক পাট পরিণত হবার আগেই কেটে ফেলছেন। এক বিঘা জমিতে ৬ থেকে ৭ মণের বেশি ফলন হবে না। বাজারে এখন পাট বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ এক হাজার ৬০০ টাকা দরে। সে হিসেবে পাট বিক্রি করে বিঘাপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। তারা পাটের মূল্য মণপ্রতি ৩ হাজার টাকা করার দাবি জানান। রাজবাড়ী সদর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুণ সরকার বলেন, কৃষকরা রোপা আমন ধান বপনের কারণে আগেভাগেই পাট কেটে ফেলছেন। সেক্ষেত্রে পাটের ফলন কিছুটা কমে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।