প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
শিল্পের কোনও কাঁটাতার হয় না, শিল্পীসত্ত্বা LoC বেড়াজালে আটকে রাখা যায় না, সেই কারণেই ভারতীয় চলচ্চিত্রের দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব দিলীপ কুমার ও রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। সেই মতোই খাইবার পাখতুনখয়া প্রদেশে অবস্থিত প্রয়াত তারকা রাজ কাপুর ও লিভিং লিজেন্ড দিলীপ কুমারের বাড়ি দুটি কিনে নিতে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করল সেদেশের প্রাদেশিক সরকার। এই বাড়ি দুটি অধিগ্রহণ করে সেটি ঐতিহ্যপূর্ণ ভবন হিসাবে গড়ে তুলবে পাক সরকার। পুরাতত্ত্ব বিভাগের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল ঐতিহ্যপূর্ণ এই বাড়ি দুটির স্থিতি খুবই সংকটজনক, যে কোনও মুহূর্তে তা ভেঙে পড়তে পারে। এরপরই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দুটি বাড়িকেই জাতীয় ঐতিহ্যপূর্ণ ভবন হিসাবে ঘোষণা করবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পাখতুনখয়া সরকারের তরফে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্তর্গত কিসা খওয়ানি বাজার এলাকায় অবস্থিত প্রখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটা। তবে স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘদিনের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কালের নিয়মে সে বাড়ি আজ ভেঙে পড়ার দশায় পৌঁছেছে।
অবিভক্ত ভারতের বুকে ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে দেওয়ান বাসেস্বরনাথ কাপুর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে কাপুর হাভেলি তৈরি করেছিলেন। সম্পর্কে তিনি ছিলেন রাজ কপুরের ঠাকুরদা। রাজ এবং তাঁর কাকা ত্রিলোক কাপুর এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে এই বাড়িকেই ন্যাশনাল হেরিটেজ ঘোষণা করে দেয় সেখানকার প্রাদেশিক সরকার। পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে কাপুর হাভেলিকর বর্তমান মালিক আলি কাদের। এই ঐতিহাসিক সৌধ সংরক্ষণের জন্য দেড় কোটি টাকা ধার্য করেছে পাক সরকার, অন্যদিকে দিলীপ কুমারের বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা খরচ করবে সীমান্ত পারের প্রাদেশিক সরকার।
সূত্র- পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।