পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্যাসের কারণে কমদামে বিদ্যুৎ পেয়ে এসেছি, গ্যাস ফুরিয়ে আসার কয়লা আমাদের সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে পারতো। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে দেশীয় কয়লা থেকে সরে থাকা নীতি আত্মঘাতী হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন জরুরি।
গতকাল শনিবার এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত “২০২১ সালের এনার্জি চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এমন মতামত উঠে এসেছে। সেমিনার সঞ্চালনা করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা এখন নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আগে সাইফি-সাইদি ছিল বিতরণ কোম্পানি নির্ভর। এখন স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে ডাটা জেনারেট করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। চলতি বছরেই ৫০ শতাংশ অটোমেশন হবে। সবাই কোয়ালিটি ও নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে, শিল্পে ডাবল সোর্স নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা সময়ের প্রয়োজনে ক্যাপটিভ পাওয়ার পলিসি, স্মল পাওয়ার, মার্চেন্ট পাওয়ার এবং আইপিপি পাওয়ার জেনারেশন পলিসি করেছি। সবগুলো মিলে একটি সমন্বিত পাওয়ার জেনারেশন পলিসি নিয়ে কাজ করছি। আমরা চাই সঞ্চালনেও প্রাইভেট কোম্পানি আসুক। নতুন পলিসিতে এসব বিষয় উন্মুক্ত থাকবে। পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্লানে রয়েছে ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকবে। এরমধ্যে ১৯ হাজার মেগাওয়াট থাকবে গ্যাস ভিত্তিক। বিদ্যুতে দৈনিক ৩ হাজার মিলিয়ন ঘণফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে। সবমিলিয়ে সাড়ে ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন পড়বে। কয়লাকে বাদ দিলে চলবে না। এটি এখনও সাশ্রয়ী এনার্জি। তবে এটির মিক্স কতো হবে। নিজস্ব কয়লা ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। মোশাররফ কমিটি একটি রিপোর্ট দিয়েছে আর কোনো আলোচনাও দেখি না। ফুলবাড়ি আরও কিছু স্ট্যাডি করা দরকার। ওপেন পিট নিয়ে আইডবিøউএম একটি স্ট্যাডি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেই স্ট্যাডিটাও আলোচনায় আসেনি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারে প্রধান উপদেষ্টা জ্বালানি বিষয়ক বিশেষ সহকারি প্রফেসর ম. তামিম বলেন, যদিও আমরা ভারতেও হোলসেল মার্কেট থেকে অংশ নিতে পারি। তাহলে কমদামে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। আমাদের মাত্র দুটি লাইন। অবকাঠামো উন্নয়ন করলে এটি করা সম্ভব। ভারতে সোলার ৩ টাকা ইউনিটে বিক্রি হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে কমপক্ষে আরও দুই-তিনটি পয়েন্ট বাড়ানো উচিত।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জ্বালানি আমদানি নির্ভরতা একটি প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ যদি রপ্তানি ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমদানি নির্ভরতা বড় ধরণের প্রভাব ফেলতে পারবে না। রপ্তানি ধরে রাখতে পারলে মোকাবেলা করতে পারবো।
বিদ্যুতের ব্যাকাপ নিশ্চিত করতে হিউজ বিনিয়োগ হচ্ছে। লিফটে আটকে যাবো এই ভয়ে জেনারেটর বসাতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। গ্যাস ব্যবহারের কারণে সবচেয়ে কমদামে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। কয়লা ব্যবহার না করার কারণে দাম বেশি পড়ছে। কয়লা নিয়ে কথাও হচ্ছে না। ২০ বছর পরে হয়তো কেউ কয়লা তুলতে পারবে না।
বিপ্পার প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম বলেন, সঞ্চালন ও বিতরণেও প্রাইভেটাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সঞ্চালনের পলিসিতে বিতরণও যুক্ত হতে পারে। ভূমি সংক্রান্ত অনেক জটিলতা রয়েছে। সরকার ছাড়া কারো পক্ষে লাইন নিয়ে যাওয়া জটিল। সরকার যদি সহায়তা করে তাহলে অনেক বিনিয়োগকারি এগিয়ে আসবে। বিশাল এ্কটি শিল্পগোস্টি কাজ করছে এ খাতে।ভবিষ্যতে ফুয়েল মিক্সে সরকার গ্যাস ভিত্তিক জ্বালানির দিকে যেতে চাচ্ছে এটি ভালোই হবে।
অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় আরএমআইটি’র অধ্যাপক ড. ফিরোজ আলম বলেন, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ হচ্ছে সবচেয়ে সাশ্র্রয়ী। কয়লা ২৫ শতাংশের নিচে যেনো না নামে। যদি কয়লা বাদ দিয়ে শুধু অন্যান্য এনার্জি নির্ভর হই তাহলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।