বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সøুইচ গেইট পয়েন্টে অবৈধ সেলো মেশিন বসিয়ে চলছে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানের পরও অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা বেশ কয়েকমাস ধরে বদরখালী পাউবোর অফিসের সামনে মহেশখালী-বদরখালী নৌ চ্যানেল থেকে চালিয়ে যাচ্ছে বালু লুটের রমরমা বাণিজ্য। আর এ অবস্থার কারণে বড় ধরনের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে এ ভাবে প্রতিদিন শত শত ঘনফুট বালি উত্তোলন করছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী চক্রটি। সেলো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে সমুদ্র চ্যানেলের জীব-বৈচিত্র ও পাউবোর বেড়িবাঁধ, গ্রামীণ সড়ক, আশপাশের জনবসতি।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, সরকারি দলের দাপট দেখিয়ে বদরখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের উত্তর পাশে সড়কের পশ্চিমে নতুনঘোনা এলাকায় সমুদ্র চ্যানেলে অবৈধ বালু মহাল গড়ে তুলেছেন বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.কে ভুট্টো সিকদার।
ওই পয়েন্টে ছোট বোটের উপর সেলো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এভাবে সমুদ্র চ্যানেল থেকে বালু লুটের মাধ্যমে ভুট্টো সিকদার ও তার সিন্ডিকেটের লোকজন বছরজুড়ে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার রমরমা বাণিজ্য চালাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বদরখালী বাজারের পশ্চিমে একইভাবে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন পূর্বক সমিতির মৎস্য ঘের ভরাটের ঘটনায় ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর ৬ লাখ টাকা জরিমানাও করে ভুট্টো সিকদারকে। তারপরও দলের দাপট দেখিয়ে ভূট্টো সিকদারের নেতৃত্বে বালুদস্যুরা সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর বর্তমান বালু উত্তোলন বন্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে পরিবেশ সচেতন মহল অভিযোগ তুলেছেন, বালু লুটে জড়িতরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাচ্ছেনা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে দিন দিন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দাবি করেন, পাউবো বেড়িবাঁধের পাশে সমুদ্র চ্যানেল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ইতোপূর্বে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ সুযোগে অভিযুক্ত চক্রটি দিনের পর দিন ফ্রি স্টাইলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি প্রসঙ্গে জানানো হলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বদরখালীর ওই পয়েন্টেও ভ্রাম্যমান অভিযান চালাবে। জড়িতরা যতই প্রভাবশালী বা দাপটশালী হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।