পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পাটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি লাইফ সাপোর্টে চলে গেছে। এ দলের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। এখন যে জাতীয় পার্টি দেখছেন সেটি এরশাদের জাতীয় পার্টি না। গতকাল জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর নগরীর দর্শনা মোড়স্থ পল্লী নিবাসের পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিদিশা এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিকে পুরনো রুপে ফিরিয়ে আনতে আমি এরিক এরশাদকে নিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রুপসা থেকে পাটুরিয়া যাবো। দলকে সুসংগঠিত করতে সারাদেশে জাতীয় পার্টির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দদের সাথে যোগাযোগসহ তাদের ডোর টু ডোর যাবো। দলকে আরো শক্তিশালী করবো। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে কোনো দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আসলে সেই দলের নেতাকর্মীরা দলের প্রধানদের কবর জিয়ারত করতে যান। অন্যরা এখানে কে কি করছে আমি জানি না। এরিকের ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা রংপুরে এসে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করলাম।
জিএম কাদেরকে দলের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান আখ্যায়িত করে বিদিশা বলেন, আমি যুব ও তৃণমূলের মানুষদের দলে আনতে কাজ করবো। এতে করে জাতীয় পার্টিতে স্বঘোষিত চেয়ারম্যান ঘোষণা দেয়ার আর জায়গা থাকবে না। আমরা ভবিষ্যতে পার্টিতে আর যেন স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবো।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদে পুত্র এরিক এরশাদ কেঁদে কেঁদে বলেন, জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা রংপুরে এসেছি, আব্বার কবর জিয়ারত করেছি। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমার বাবাকে বেহেস্ত নসিব করুন আমিন।
এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে দুজনই আবেগাল্পুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। কেঁদেছেন বিদিশা এরশাদ ও পুত্র এরিক এরশাদ। এরিক তার বাবার করবের নাম ফলকের ময়লা-আবর্জনা মুছে পরিষ্কার করে কয়েক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলেন। এরপর এরশাদের পল্লী নিবাসে বাসভবনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর আহমেদ সিদ্দিকী, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের পরিচালক অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান, প্রেস সচিব এএসএম সায়েম সাকলায়েম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।