পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘মর্নিং সোজ দ্য ডে’। ইংরেজ দার্শনিক জন মিল্টনের এই পংক্তির বাংলা অর্থ ‘সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে’। ২০২০ সালের শুরুর দিন বোঝার উপায় ছিল না বছরটিতে করোনাভাইরাস পৃথিবীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। স্বাগত ২০২১।
করোনার মধ্যেই ২০২০ সালের শেষ দিন বিদায় নিয়ে শুরু হলো নতুন ইংরেজি বছর ২০২১। নতুন আশার অঙ্কুর জাগিয়ে নতুন আসছে। কিন্তু, ফেলে আসা বছরের দুঃস্বপ্ন করোনা থেকে মানুষ কী মুক্তি পাবে? অদৃশ্য করোনাভাইরাস লন্ডভন্ড করে দিয়েছে বিদায়ী বছরটি। কত মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছেন এই ভাইরাসের ছোবলে, কত বিখ্যাত মানুষ চলে গেছেন এই ভাইরাসের লেলিহান গ্রাসে তার পরিসংখ্যান বের করা সত্যিই কঠিন।
কোভিড-১৯ অথবা নোবেল করোনাভাইরাস যে নামেই ডাকি না কেন, উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের ভাষায় ‘নামে কিবা আসে যায়’। এই ভাইরাস কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। ভাইরাস শুধু মানুষের প্রাণ নেয়নি; কর্মহীন বেকার বানিয়েছে পৃথিবীজুড়ে কয়েক কোটি মানুষকে। মৃত্যুভয় মানুষকে নতুন করে পরিচিত করে তুলেছে। প্রতিবেশী প্রতিবেশীকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। বাবাকে ফেলে ছেলে, মেয়েকে ফেলে বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটেছে। তরুণ-তরুণীর জীবনের ছন্দে যতি পড়েছে। দাম্পত্য দুর্বিষহ হয়েছে। বন্ধুদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্র চায়ের দোকান বন্ধ হয়েছে। পার্ক, মিউজিয়াম বন্ধ, বন্ধ সিনেমা-থিয়েটার সমেত অন্য বিনোদনও। তবে মানুষ নতুন করে পরিচিত হয়েছে লকডাউন, কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, জুম্ মিটিং, পান্ডেমিক, অক্সিমিটার প্রভৃতি শব্দগুলি। আর একটি শব্দ উচ্চারিত হয়েছে এই ২০২০ তে- ইনফোডেমিক।
নিভৃত একাকী বাস শব্দটি এই করোনা বছর ২০২০ সালে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যেমন পেয়েছে সামাজিক দূরত্ব শব্দটি। এই পৃথিবী নিভৃতে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করে বড় একা হয়ে গেছে। ২০২১-এ আবার ফিরে আসুক পৃথিবীর হাসি। দূর হোক করোনায় মৃত্যু, বেকারত্ব, নির্বান্ধব স্বার্থপর জীবন। জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক। নতুন আনন্দে জেগে উঠুক পৃথিবী। হাসুক অনাবিল।
জ্যোতিষিদের মতে রাশিচক্র অনুযায়ী ২০২১ সালের শুরুতে রবি, বুধ ধনুতে; বৃহস্পতি, শনি, প্লুটো মকরে; নেপচুন কুম্ভে; মঙ্গল, ইউরেনাস মেষ রাশিতে; রাহু বৃষে; চন্দ্র কর্কটে; কেতু, শুক্র বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করবে। নৈসর্গিক গ্রহগত অবস্থান ও মানডেন অ্যাস্ট্রলজি স‚ত্র মতে বাংলাদেশ মিথুন লগ্ন ও ধনুরাশির অন্তর্গত।
২০২১ সালকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের বিভিন্নখাতে অগ্রসরের ধারা অব্যাহত থাকবে। যোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে সাফল্য আসবে। শিক্ষাখাতে নতুন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রশাসনিক দক্ষতা ও সাফল্য বৃদ্ধি পাবে। সৃজনশীল বিষয়ে উন্নতি ক্রমান্বয়ে বিকশিত হবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়েও সাফল্যের ইঙ্গিত রয়েছে।
বছরের বিভিন্ন সময় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ স্বাভাবিক জনজীবনে বিঘœ ঘটাতে পারে।
২০২১ সালে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন ভালো হবে। বৈদেশিক রেমিটেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। একইসঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্যে ইতিবাচক সফলতার ইঙ্গিত রয়েছে।
২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে। রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন পণ্য সংযোজিত হতে পারে। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মতদ্বৈততা ও সিদ্ধান্তহীনতা বাড়লেও সব মিলিয়ে ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সামগ্রীকভাবে মঙ্গলদায়ক ও সম্ভাবনাময় বছর। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন ‘বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক/যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি/ অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক/ মুছে যাক গøানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।