পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেঘনাবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নদীভাঙনের শিকার হাজার হাজার পরিবার। প্রতি বছর বিশাল এলাকা মেঘনা গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এতে করে ঘরবাড়ি, জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। কয়েক দশক পূর্বে হরণী ও চানন্দি ইউনিয়ন বিলীন হয়ে গেছে। দুই দশক পূর্বে নলচিরা ইউনিয়ন ও সুখচর ইউনিয়নে এখন মাত্র একটি করে গ্রাম অবশিষ্ট রয়েছে। এছাড়া চরকিং ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের বিশাল এলাকা বিলীন হয়েছে। গত সাড়ে চার দশকে নদীভাঙনের শিকার হয়েছে ৬৫ হাজার পরিবার। তেমনিভাবে হাতিয়া মূল ভ‚খন্ডের আয়তনও ক্ষীণ হচ্ছে। একই সময় ভাঙনরোধে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ না নেয়ায় এখন প্রকৃতির দয়ার উপর হাতিয়াবাসীর ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
হাতিয়া নদীভাঙন শিকার অর্ধলক্ষাধিক পরিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া মূল ভূখন্ডের বেড়িবাঁধ, মাটির কিল্লা এবং জেড়ে ওঠা চরে আশ্রয় নিয়েছে আরো হাজার হাজার পরিবার। বর্ষা মৌসুমে উত্তাল ঢেউ ও খরস্রোতের কারণে ভাঙন প্রক্রিয়া ভয়ানক রূপ নেয়। হাতিয়া মূল ভূখন্ডের প্রতিটি ইউনিয়ন কমবেশি ভাঙনের শিকার। সবচে বেশি ভাঙনের শিকার হাতিয়া মূলভ‚খন্ডের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চল। তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিমপাশের্^ বিশাল এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়। ভাঙনরোধে তমরদ্দিতে ২০১২ সালে সোয়া দুই কিলোমিটার এলাকায় ব্লক সিসি নির্মাণ করা হয়। এরপর উক্ত এলাকা ভাঙনরোধ ছাড়াও পশ্চিমাংশে বিশাল চর জেগে ওঠেছে। যার আয়তন হবে দুইটি ইউনিয়নের আয়তনের সমান। তমরদ্দি ইউনিয়নে নদী ভাঙনরোধ সফল হওয়ায় হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে স্থায়ী ভাঙনরোধ কল্পে ব্লক সিসি স্থাপনের দাবি জোরালো হচ্ছে। নদী ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে হাতিয়াবাসী মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। একই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চেষ্টা তদবির অব্যাহত রাখেন। ২০১৯ সালের মার্চে হাতিয়া দ্বীপের উত্তরাঞ্চল নলচিরা ঘাট এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে কয়েক হাজার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হয়। বছরঘুরে দেখা গেছে, নদীতে জিওব্যাগ ফেলার কারণে সে এলাকা ভাঙনরোধ হয়। এতে হাতিয়াবাসী মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ইনকিলাবকে জানান, হাতিয়া উপজেলার ১১৫ কিলোমিটার নতুন ও পূরাতন বাঁধ সংরক্ষণ ও ১৩ কিলোমিটার নদীতীর স্থায়ী সংস্কারে ও ব্লক সিসি স্থাপনের একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পুনঃসংশোধন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পরে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। একনেকে অনুমোদিত হলে হাতিয়া নদী ভাঙনরোধের কাজ শুরু হবে।
হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস ইনকিলাবকে জানান, হাতিয়ায় নদী ভাঙনরোধ এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি অচিরেই দু’টি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কাজগুলো সম্পন্ন হলে হাতিয়ার সাত লক্ষাধিক অধিবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।