পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য সুবিধা পেতেই সরকার পিটিএ বা এফটিএ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে শুল্ক আয় হ্রাসের সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে আমরা সুফল পাবো। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হলে দক্ষতার সাথে বাণিজ্য করতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাণিজ্যে দক্ষতা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন বাণিজ্য কূটনৈতিক চলছে, আমাদেরও এ সুবিধা নিতে হবে। কূটনীতিকদের দেশের রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশও কাজটি শুরু করেছে। কূটনীতিকদের এ বিষয়ে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশ দ্রুত রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে পারবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল প্লার্টফর্মে রিসার্চ পলিসি ইনট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং ফ্রাইডরিচ এবার্ট স্টুফ্টুং এর সহযোগিতায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ভূ-অর্থনীতি ও বাংলাদেশ শীর্ষক ওয়েবিনারে (সেমিনারে)’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এশিয়া এখন বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোক্তা বিবেচনায় এশিয়াকে গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে। এশিয়ার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ এখন মানসম্পন্ন পণ্য কিনতে চায়। ফলে এশিয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হতে পারে। এশিয়ার বাজার ধরে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। রফতানিকারকগণও এখন এশিয়ার বাজারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এশিয়াই হবে বড় বাজার।
টিপু মুনশি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশ সরকারের সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিশ্বের মন্দা অর্থনীতির মাঝেও আমরা ভালভাবেই টিকে আছি। বাংলাদেশ রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আশা করা যায় কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাবে। ইআরএফ’র প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভি-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বিষয়ের উপর আলোচনায় অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এম হুমায়ুন কবীর, এমসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। সেমিনারে বিষয়ের উপর কী-নোট উপস্থাপন করেন র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক, এফইএসএমএস এর আবাসিক প্রতিনিধি টিনা ব্লোহোম। অনুষ্ঠানটির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ইআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।