পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের রফতানি বৃদ্ধি জন্য সরকার সহায়তা দিচ্ছে, রফতানিকারকদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসা বান্ধব সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক রফতানি বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরী পোশাকের পাশাপাশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সম্ভাবনাময় চারটি শিল্প খাত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা, হালকা প্রকৌশল ও প্লাষ্টিক পণ্য খাত। এগুলো বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’ প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ‘পাবলিক ইনভেষ্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কন্সট্রেইন্টস(পিআইএফআইসি)’ কর্মসূচি চালু হরা হলো। এতে করে রফতানিকারকরা অনেক উপকৃত হবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাণিজ মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’ প্রকল্পের আওতায় ‘পাবলিক ইনভেষ্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কন্সট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি)’ কর্মসূচি চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ ২০২০ সালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে পালন করছে। ২০২১ সালে আমরা পালন করবো মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে আমরা দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছি। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিন সূচকে বাংলাদেশ সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রত্যাশা ২০৩০ সালে বৈশি^ক উন্নয়ন এজেন্ডা এসডিজি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পণ্য ও বাজার বহুমূখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে)’ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত চারটি শিল্প খাতকে রফতানিতে সক্ষম করে তোলার জন্য এ কর্মসূচির আওতায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে এবং বিশ^ব্যাংক আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। অন্যাণ্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেদার এন্ড লেদারগুডস, ফুটওয়্যার প্রস্তুত কারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্লাষ্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং ওয়াল্ড ব্যাংক গ্রæপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ সোহনা ফেরদৌস সুমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।