বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাসের ভয় উপেক্ষা করে পর্যটকে ভরপুর এখন কক্সবাজার সৈকত। পর্যটন মৌসুমের পিক আওয়ার এই ডিসেম্বর মাস। এমাসে থাকে সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি। থাকে সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস, ক্রিসমাসডে ও ইংরেজি বছর শেষে পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের বরণ। আরো থাকে থার্টিফার্স্ট নাইটের উচ্ছাস।
এছাড়াও শীতের মৌসুম হওয়ায় ডিসেম্বরেই পর্যটকদের বেড়ানোর কর্মসূচী থাকে বেশী। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে বিশেষ বিশেষ দিন ছাড়াও ডিসেম্বর মাসেই কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো ডিসেম্বরে পর্যটক স্রোত শুরু হয়েছে কক্সবাজার মুখী। করোনা লক ডাউন উঠে যাওয়ার কক্সবাজারে হুমড়ি খেয়ে পরেছে ভ্রমন পিয়াসুরা।
খবর নিয়ে জানাগেছে, বাংলাদেশ বিমানসহ সব কটি ইয়ার লাইন্স ও অর্ধশত মত পরিবহন সংস্থা গুলো রাত দিন বিরামহীনভাবে পর্যটক বহন করছেন গত এক সপ্তাহ থেকে।
থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গত কয়েকদিন থেকে পর্যটকে টইটুম্বুর হয়েছে কক্সবাজার। বিস্তীর্ণ সৈকতসহ জেলার পর্যটন স্পট গুলোতে দেখাগেছে হরেক রকম পর্যটকের স্বরব পদচারণা।
কক্সবাজারের অর্ধডজন ৫ তারাকা হোটেল থেকে শুরু করে ৫ শতাধিক
সাধারণ হোটেল ও রেস্টহাউজ-গেস্টহাউজ গুলোতে কোথাও রোম খালি নেই। যারা আগে বুকিং না দিয়ে কক্সবাজার এসেছেন তারা পড়েছেন
সমস্যায়।
এদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বিজয় দিবসের ছুটিসহ ছুটির দিন গুলোতে শুধু ডিসেম্বর মাসেই প্রায় ১০ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমন করেছেন।
পাঁচতারকা হোটেল সীগাল এর সিইও ইমরুল হাসান রুমি বলেন, করোনা লক ডাউনের পর এবারে কক্সবাজারে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আশা করছেন তারা। তিনি আরো জানান, সীগাল হোটেলসহ পাঁচতারকা হোটেল গুলোতে যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো পর্যটক পাচ্ছেন তারা। তাঁর মতে কক্সবাজারের রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ভালো হওয়ায় ভালো পর্যটকরা কক্সবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট এর অফিসার কামরুল হাসান এর প্রসঙ্গে বলেন, করোনা সংকটেও পর্যটক আসার স্রোতটা খুবই ভালো। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস সমিতির নেতা হোটেল ডায়মন্ড স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৫ লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণের আশা করছেন তারা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, পর্যটন এলাকায় তাদের পুলিশ সরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যাতে করে পর্যটকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভ্রমন করতে পারন এবং কোন ধরনের হয়রানির শিকার যেন না হয়।
পুলিশ সুপার কক্সবাজার হাসানুজ্জামান বলেন, পুলিশের সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে কক্সবাজারের ৮ উপজেলাকে বিট পুলিশিং এর আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে জনগণ এর সুফল পাচ্ছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো পুলিশ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। i
পুলিশ সুপার বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের উপর ১২ লাখ রোহিঙ্গা অবশ্যই একটি বড় বোঝা। এর উপর পর্যটন শহর হওয়ায় রয়েছে লাখ লাখ পর্যটকের চাপ। এখানে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়।
মাদক নির্মুল সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা অনেক বড় কথা। সমাজের বিভিন্ন স্থরে নানা ভাবে মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক আগে থেকেই। জনগণ যেহেতু পুলিশের মুল শক্তি। এজন্য জনগণকে নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে পুলিশ মাদক প্রতিরোধে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের নিয়মিত অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে।
২৫ ডিসেম্বর খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের বড় দিন ও ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফাস্ট নাইটে পুলিশের সতর্কতা সম্পর্কে এসপি বলেন, এদিন গুলোতে কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটকের সমাবেশ ঘটে থাকে। পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। এসময় বাইরে উন্মুক্ত স্থানে কোন সমাবেশ ও হৈ-হুল্লোড় করা যাবেনা। এই বার্তা হোটেল- মোটেল ও পর্যটকদের মাঝ প্রচার করা হচ্ছে। যাতে আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি হতে এমন কোন ঘটনা যেন না ঘটে।
এদিকে সারাদেশের পর্যটন স্পট গুলোর মধ্যে পর্যটন রাজধানী খ্যাত সৈকত নগরী কক্সবাজার হচ্ছে ব্যতিক্রম। এখানে ১২০ কিমি সমুদ্র সৈকত, সমান্তরাল মেরিন ড্রাইভ সড়ক, ডুলাহারায় বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, মহেশখালীর সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি ও সাগর দ্বীপ কুতুবদিয়া পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।