বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের নিজামখাঁ গ্রামে বাদীর ক্রয়কৃত জমিতে ঘর তুলে জবর দখলের চেষ্টায় অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর চালিয়েছে আসামীরা। এঘটনা গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ঘটেছে।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত আঃ কাদের সরকারের ছেলে রেজাউল করিম লাইজু তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের নামে দলিল মূলে ৩.৫০ শতক জমি ক্রয় করে। তার প্রতিবেশি মৃত ছোমেদ আলীর ছেলে মফিজল হক ওই জমি নিজের বলে দাবি করে কয়েকমাস থেকে রেজাউল করিমদের সাথে বিবাদ করে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২৮ অক্টোবর জমি জবর-দখল করার জন্য মফিজল হক কিছু সহযোগি নিয়ে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমিতে গেলে মমতাজ বেগম বাধা দেয়। এতে মফিজল বাহিনী তাকে বেধরক মারপিট করাসহ তার বসত বাড়ির ঘর ভাংচুর করে। গুরুত্বর আহত মমতাজ বেগমের স্বামী বাদী হয়ে গত ১লা নভেম্বর সুন্দরগঞ্জ থানায় মফিজল হকসহ ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১/৪১৮। এনিয়ে কয়েকদফা স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের মাধ্যমে সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু মফিজল হক সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জমি তার চাই এই সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এদিকে মামলার আসামীরা ২৯ ডিসেম্বর আদালতে জামিন নিয়ে বাড়িতে ফিরে আবারো ওই জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গভীর রাতে মফিজল বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রেজাউল করিম লাইজুর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নি সংওযোগ করে তান্ডব চালায়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফিরে আসার পর্যায়ে মফিজল বাহিনী মামলার বাদিকে ফাসানোর জন্য উত্তোলিত ঘরে কেরোসিন ঢেলে অগ্নি সংযোগ ও নিজেদের ঘরের টিন ভাংচুর করে। এসময় পুলিশ পুনরায় খবর পেয়ে দ্রæত ফিরে গিয়ে আগুন নিভানোসহ সংশ্লিষ্টদের আটকের চেষ্টা চালায়। এদিকে আসামীরা প্রকাশ্যে বাদিকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়াসহ জমি দখলে নিবে বলে বলে বেড়াচ্ছেন। এঘটনায় অসহায় রেজাউল করিম লাইজু বুধবার সুন্দরগঞ্জ থানায় আরো একটি এজাহার দায়ের করেন। থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, ১৪৪ ধারা জারীকৃত একটি জমিতে আসামী পক্ষ ঘর তোলার চেষ্টাসহ ঘরে অগ্নি সংযোগ করে। যা বেআইনী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড হয়নি বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।