Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নওগাঁর রাণীনগরে বই সংরক্ষণের নির্দিষ্ট কোন নিরাপদ জায়গা না থাকায় চরম বিড়ম্বনায় কর্তৃপক্ষ

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:১৫ পিএম

বর্তমান সরকার প্রতি বছর ১লা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে উদযাপন করে আসছে বই উৎসব। যার কারণে প্রতিবছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় চাহিদা মাফিক নতুন বই সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন ও পুরাতন বইগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উপজেলা পরিষদের মধ্যে নেই কোন নির্দিষ্ট স্থান। যার কারণে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যালয় প্রধানদের।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকলেও বই সংরক্ষণ করে রাখার জন্য কোন সুরক্ষিত নির্দিষ্ট জায়গা নেই। প্রতিবছর যখন নতুন বইগুলো উপজেলায় চলে আসে তখন এই বইগুলো সুরক্ষিত জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অথচ উপজেলা প্রশাসন ইচ্ছে করলেই এমন অধিক গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি সমাধান করতে পারেন। পরিষদের ভিতরে একটি নির্দিষ্ট ও সুরক্ষিত জায়গায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বই সংরক্ষন করে রাখার দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর উপজেলার ১শতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪২টি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের জন্য প্রায় ৯১হাজার ১শত ৭০টি নতুন বই পাওয়া গেছে। এই বইগুলো ১নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে মজুদ করে রাখা হয়েছে। এভাবে বই উপজেলা পরিষদের বাহিরে সংরক্ষন করে রাখা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ন বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। অপরদিকে উপজেলার ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদ্রাসা ও ৪টি এফতেদায়ী মাদ্রাসার (স্বতন্ত্র) জন্য প্রায় ৩লাখ নতুন বই এসেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলো উপজেলা পরিষদের একটি পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে মজুদ করে রাখা হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার সামছুজ্জামান বলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মূলত উপজেলা পরিষদে এসে বই নিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু পরিষদের ভিতরে সুরক্ষিত কোন জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই একটি বিদ্যালয়ের কক্ষে বই মজুদ করে রাখতে হয়েছে। এতে করে বই নিয়ে ঝুঁকি অনেকটাই থেকে যায়। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন সেটার দায়ভার আমার উপরেই বর্তাবে। তাই পরিষদের ভিতরে বইয়ের মতো এমন গুরুত্বপূর্ন জিনিস সংরক্ষনের লক্ষ্যে দ্রæত একটি ভবন নির্মাণ করে শতভাগ নিরাপত্তা প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও আমার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বসার জায়গা নেই। সবমিলিয়ে যেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জরাজীর্ন এক অবস্থা।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন উপজেলা পরিষদের মধ্যে সবকিছুরই জায়গা হয় কিন্তু বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ন উপকরন সংরক্ষন করার মতো নিরাপদ কোন জয়গা নেই। আমরা বাধ্য হয়েই উপজেলা পরিষদের এক কর্ণারে পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে বই মজুদ করে রেখেছি। যদিও বা বইগুলো বেশিদিন মজুদ করে রাখতে হবে না। তবুও ঝুঁকি থেকেই যায়। নতুন বই না থাকলেও অনেক পুরাতন বই ও অন্যান্য উপকরন সংরক্ষন করার জন্যও একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত জায়গা (স্টোররুম) প্রয়োজন। কারণ প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট জায়গা লাগবেই নতুন বই সংরক্ষন করার জন্য। তাই এমন গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন এই বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাবনা পাঠাবো। আশা রাখি কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ