পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বিতীয় দলে এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা গতকাল মঙ্গলবার ভাসানচরে গেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজযোগে দুপুরে তারা নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছে। এই দলে ৪২৭ পরিবারের সদস্য রয়েছেন। প্রথম দফায় ভাসানচর যাওয়া বিভিন্ন পরিবারের ১৩০ জন সদস্যও রয়েছে দ্বিতীয় দলটিতে। তাদের স্বাগত জানাতে ভাসানচরে বিভিন্ন রঙ্গিন ব্যানার ফেস্টুন সাজানো হয়। এ সময় রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে নৌ-বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সকাল ৯টার পর রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাব সংলগ্ন জেটি থেকে একের পর এক জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলা পৌনে ১টায় প্রথম জাহাজটি ভাসানচর পৌঁছে। এর আগে সোমবার রাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বাসযোগে নারী, শিশুসহ এসব রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। রাতে তাদের পতেঙ্গায় বিএএফ শাহীন কলেজে রাখা হয়। সকালে কলেজ থেকে তাদের বোট ক্লাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে একে একে জাহাজে উঠেন রোহিঙ্গারা।
এ নিয়ে দুই দফায় তিন হাজার ৭৫২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১৬শ’ ৫২ জনকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। তার আগে মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আশ্রয় দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী পর্যায়ক্রমে তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য খেলার মাঠ, স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি সংস্থার লোকজনের থাকার জন্য ভবন নির্মাণ ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের রিসিভ করতে পূর্ব থেকে নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নোমান হোসেন, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেনসহ একটি টিম ভাসানচরে অবস্থান করেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের বহনকরা জাহাজ দুপুরে পর্যায়ক্রমে এসে পৌঁছায় ভাসানচরে। এর মধ্যে ৫টি জাহাজে রোহিঙ্গারা ছিল একটি জাহাজে তাদের মালামাল ছিল।
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উখিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রিন্সিপাল হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতিকারী এবং কিছু এনজিও এতদিন তাদের ভাসানচর যেতে অনুতসাহিত করছিলো। ভাসানচর গেলে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের চাপ কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, এতে করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।