পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় পর্বতারোহী রেশমা নাহার রতœাকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনায় মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালামকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ। এছাড়া অপর আসামি মো. নাইমের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণের মতো কোনো সাক্ষী-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়। শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মো. আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মো. মোবারক আলী ২০ জনকে সাক্ষী করে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অপর আসামি মো. নাইমের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণের মতো কোনো সাক্ষী-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়। গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলাটি ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে বদলি করেন। আগামী ৪ জানুয়ারি মামলাটি শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ভিডিওচিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় ঘটনার সময় কালো/ধূসর রংয়ের দুটি মাইক্রোবাস গণভবনের ক্রসিংয়ের দিকে প্রবেশ করে। এ সময় ভুক্তভোগী পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্মা বাইসাইকেলে করে রাস্তার বাম থেকে ডান দিকে যাওয়ার জন্য ইউটার্ন নেন।
তখন রাস্তা ফাঁকা পেয়ে বেপরোয়া গতিতে দুটি গাড়ি যাচ্ছিল। তখন রতœার পেছন থাকা একটি মাইক্রোবাস ব্রেক করে বাম দিক দিয়ে কেটে চলে যায়। তবে এই গাড়ির পেছনে থাকা অপর আরেকটা গাড়ি ওই গাড়ির ডান দিক দিয়ে কেটে যাওয়ার সময় রতœার বাইসাইকেলে ধাক্কা দেয়। উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন পর্বতারোহী রেশমা নাহার রতœা। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রতœার দুলাভাই মো. মনিরুজ্জামান একটি মামলা করেন। মামলার পর গত ১৮ আগস্ট মোহাম্মদ নাঈম নামে এক চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন নাঈমের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ আগস্ট রিমান্ড শেষে নাঈমকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৬ আগস্ট রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে এস এম দারুস সালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় একটি টয়োটা মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। এই গাড়ির মালিকও তিনি। ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৩০ আগস্ট ঘটনার দায় স্বীকার করে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে জবানবন্দি দেন মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালাম। ধাক্কা মারার পর লোকজনের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রæত পালিয়ে যান তিনি। জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।