রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে : সিলেট শহরের প্রবেশ দ্বার হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক ক্বীন ব্রিজ। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় হরমা পুল (সুরমার পুল) বলে সবার নিকট পরিচিত। এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। সম্প্রতি ব্রিজটি এক ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে মোটরসাইকেল ব্যতিত সকল ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ‘সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ’ ব্রিজের তোরণে বিরাট আকারের ব্যানার টাঙ্গিয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা! পুলিশের সামনে ভারি যানবাহনসহ নানা ধরনের গাড়ি চলাচল করছে। যে কোন সময় অঘটন-ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যানারটি অনেকে পড়ে মন্তব্য করতে শুনা যায়, ‘কাজীর আইন কিতাবে, বাস্তবে নাই।’ সচেতন মহলের দাবি শুধু ব্যানার টাঙ্গিয়ে দায়িত্ব¡ পালন না করে অন্যান্য যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। “সিলেট জেলা তথ্য বাতায়নগ্ধ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ক্বীন ব্রিজ হলো বাংলাদেশের সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর উপর স্থাপিত একটি লৌহ নির্মিত সেতু। এটি সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে সবার নিকট পরিচিত। এ ব্রিজটিকে সিলেট শহরের ্রপ্রবেশদ্বারগ্ধ বলা হয়। সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলে ক্বীন ব্রিজটি অবস্থিত। এর এক দিকে দক্ষিণ সুরমা ও অপর দিকে তালতলা। তিরিশের দশকের দিকে আসাম প্রদেশের গভর্ণর ছিলেন মাইকেল ক্বীন। তিনি সিলেট সফরে আসেন। তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতেই এ ব্রিজটি নির্মাণ হয় এবং এই ব্রিজটির নামকরণ করা হয় গভর্ণর মাইকেল ক্বীনের নামানুসারে। আসাম প্রদেশের গভর্ণর মাইকেল ক্বীন সিলেট সফরে আসার জন্য সুরমা নদীতে ব্রিজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তৎকালীন সময়ে আসামের সাথে সিলেটের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ট্রেন। ফলে, রেলওয়ে বিভাগ ১৯৩৩ সালে সুরমা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং নির্মাণ শেষে ১৯৩৬ সালে ব্রিজটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়। ব্রিজটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অশেষ অবদান রাখেন তৎকালীন আসাম সরকারের এক্সিকিউটিভ সদস্য রায় বাহাদুর প্রমোদ চন্দ্র দত্ত এবং শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল হামিদ। ক্বীন ব্রিজ লোহা দিয়ে তৈরি। এর আকৃতি ধনুকের ছিলার মত বাঁকানো ছিল বলে জানা যায়। ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ১১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। ক্বীন ব্রিজ নির্মাণে তৎকালীন সময়ে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৬ লক্ষ্য টাকা। অন্য দিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ডিনামাইট দিয়ে ব্রিজের উত্তর পাশের একাংশ উড়িয়ে দেয়। যা স্বাধীনতার পর কাঠ ও বেইলী পার্টস দিয়ে মেরামত করা হয় ও হালকা যান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় ব্রিজের বিধ্বস্ত অংশটি কংক্রীট দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং তৎকালীন নৌ বাহিনীর প্রধান রিয়াল এডমিরাল এম এইচ খান সংস্কারকৃত ব্রিজটি উদ্বোধন করেন। এর ফলে পুনরায় এটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। এরপর সময়ে সময়ে ক্বীন ব্রিজে নানা সমস্যা দেখা দিলে নামকাওয়াস্তে সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সম্ভবত সে কারণে মোটরসাইকেল ব্যতিত সকল ধরনের যান্ত্রীক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ‘সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ’-ব্রিজের তোরণে বিরাট আকারের ব্যানার টাঙ্গিয়েছেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা! নিষেদাজ্ঞাকে অমান্য করে প্রতিদিন ভারি যানবাহন চলাচল করছে। যে কোন সময় অঘটন-ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যানারটি অনকে বরতে শুনা যায়, ‘কাজীর আইন কিতাবে, বাস্তবে নাই।’ সচেতন জনগণের দাবি, শুধু ব্যানার টাঙ্গিয়ে দায়িত্ব¡ পালন না করে নিষেদকৃত যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কাজীরবাজার সেতুু দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা ও ক্বীন ব্রিজের উপর চাপ কমানোর জন্য এ নিয়ম চালু করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।